কর্মব্যস্ত দিনের শেষে শুধু যে বাড়িতে ক্লান্তি বয়ে আনছেন, তা কিন্তু নয়। তার সঙ্গে ধুলো, বালি, ময়লা, এমনকি আবহাওয়ার খামখেয়ালি স্বভাবে বাড়তে থাকা নানা রকম ভাইরাসও বাড়িতে এসে ওঠে। তাই বাড়ি ফিরেই স্নান করা প্রয়োজন। ক্লান্তি কাটানোর পাশাপাশি সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কমে উষ্ণজলে স্নানে। দেশ-বিদেশে হওয়া বহু গবেষণাতেই দেখা গিয়েছে, গরম জল শারীরবৃত্তীয় নানা রকম কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতেও সাহায্য করে। তাই শরীর এবং মন চনমনে রাখতে সব ঋতুতেই ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করার নিদান দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন:
কী কী উপকার হয় ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে?
১) মানসিক অবসাদ কাটানোর দাওয়াই হল ঈষদুষ্ণ জল। সারা দিনের ক্লান্তি কাটানোর পাশাপাশি স্ট্রেস হরমোন বা কর্টিজ়লের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে হালকা গরম জল। সেই সঙ্গে হ্যাপি হরমোন বা এনডরফিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।
২) দেহের স্নায়ুতন্ত্রের কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করা ভাল। শরীরের নিজস্ব ছন্দ বা সার্কাডিয়ান ক্লক সচল রাখতেও সাহায্য করে ঈষদুষ্ণ জল।
৩) ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তেমনটাই জানিয়েছে আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন। ‘পেন ম্যানেজমেন্ট টুল’ হিসেবে দারুণ কাজ করে গরম জল।

ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করতে ঘুমপাড়ানি ওষুধ না খেয়ে, কাজ থেকে ফিরে গরম জলে স্নান করতে পারেন। এতে দেহের পেশিগুলি শিথিল হয়। দেহে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। তার ফলে এমনিতেই ঘুম ভাল হয়।
৫) বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গরম জলে স্নান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীরে শ্বেত রক্তকণিকাগলিকে অধিক মাত্রায় সক্রিয় করতে সাহায্য করে গরম জলে স্নান।