শেষপাতে মিষ্টি না হলে যাঁদের চলে না, তাঁদের ওজন কমানো মুশকিল হয়ে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত
নতুন বছর মানেই নানা উৎসবের শুরু। শীতকাল মানে এমনিতেই উৎসবের আবহে জমজমাট থাকে চারদিক। বাঙালির বারো মাসের অর্ধেক পার্বণ যেন শুধু শীতকাল জুড়েই থাকে। উদ্যাপন মানেই ভূরিভোজ। পেটপুরে খাওয়াদাওয়া। সঙ্গে জমিয়ে মিষ্টিমুখ। তবে মিষ্টি খাওয়া মানেই ওজন বেড়ে যাওয়া। এ দিকে নতুন বছরের ‘রেজোলিউশান’ মিষ্টি ছুঁয়েও দেখবেন না। মিষ্টির প্রতি যাঁদের প্রেম নেই, মিষ্টি না খেলেও খুব অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু শেষপাতে মিষ্টি না হলে যাঁদের চলে না, তাঁদের ওজন কমানো মুশকিল হয়ে পড়ে। সারা ক্ষণই মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এই ইচ্ছা দমন না করাই ভাল। মিষ্টি ওজন বাড়িয়ে দেয় ঠিকই। তবে এর কিছু বিকল্প রয়েছে। যেগুলি মিষ্টির স্বাদ কিছুটা হলেও মেটাতে পারে।
মধু
শীতকালে বাজারে বেশ ভাল মানের মধু পাওয়া যায়। মাঝেমাঝেই মিষ্টি খেতে ইচ্ছা হলে বাড়িতে মধু রাখতে পারেন। যখনই মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করবে এক চামচ মধু মুখে দেবেন। মিষ্টির স্বাদ মিলবে আবার ওজনও বাড়বে না। সেই সঙ্গে দূরে থাকবে সর্দি-কাশি। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে মধু খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে।
নারকেলের দুধ
মিষ্টির বিকল্প হিসাবে ভরসা রাখতে পারেন নারকেলের দুধেও। স্বাস্থ্যকর আবার সুস্বাদুও। কিন্তু এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। এই দুধ বাজার থেকে কিনতে পাওয়া যায়। নারকেল দুধ উচ্চ প্রক্রিয়াজাত, যা প্রদাহনাশক হিসাবেও কাজ করে। নারকেলের দুধ দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন কোনও পছন্দের ডেজার্টও।
ড্রাই ফ্রুটস
মিষ্টির স্বাদ পেতে পারেন ড্রাই ফ্রুটসেও। খেজুর, কিশমিশ, খোবানি, বেরি— এগুলি মিষ্টির অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর কিছু বিকল্প। ড্রাই ফ্রুটস শরীরের পক্ষে খুব উপকারী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো— সবেতেই এর ভূমিকা অনবদ্য।
দারচিনি
রান্নায় একটু চিনি না দিলে স্বাদ পান না। কিন্তু ডায়েট করছেন বলে চিনি খাওয়া বন্ধ। তা হলে উপায়? চিনির বদলে ব্যবহার করতে পারেন দারচিনি। চিনি না দিয়েও রান্নায় একটা মিষ্টির স্বাদ পাবেন। আবার মোটা হয়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy