অনেকেই শরীরচর্চার নেশায় বুদ হয়ে সপ্তাহে সাত দিনই শরীরচর্চা করেন, শরীরচর্চার মাঝে কিন্তু বিশ্রাম নেওয়াও জরুরি। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
স্থূলতার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে হাজার রোগব্যাধি। তাই ওজন বাড়লেই মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন জিমে। অল্প সময়ে দ্রুত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে চলছে দেদার ভারী ওয়ার্ক আউট। ছেলেদের মধ্যে আবার বেড়েছে সুঠাম চেহারা বানানোর হিড়িক। তার জন্য পাড়ার জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেদার শরীরচর্চা, ফিটনেসবিদের পরামর্শ ছাড়াই মুড়িমুড়কির মতো সাপ্লিমেন্ট খাওয়া। শরীরচর্চার এই নেশায় কি কাল হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের?
জিম করার সময়ে আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ৪৬ বছর বয়সি অভিনেতা সিদ্ধান্ত সূর্যবংশীর। এর আগে জিম করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল কৌতুকশিল্পী রাজু শ্রীবাস্তব ও অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লর। কেন বার বার জিম করতে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ?
জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার উপকারিতা অনেক। কিন্তু শরীরের উপর বাড়তি চাপ দেওয়া কখনওই উচিত নয়। অনেকেই শরীরচর্চার নেশায় বুদ হয়ে সপ্তাহে সাত দিনই শরীরচর্চা করেন। কঠোর শরীরচর্চার মাঝে কিন্তু বিশ্রামেরও প্রয়োজন। এ ছাড়া, শরীরে কিছু অস্বস্তিবোধ হলেও কিন্তু জিমে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। জেনে নিন কোন কোন শারীরিক অসুবিধা নিয়ে জিমে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১) চিকিৎসকদের মতে, বুকের বাঁ দিকে ব্যথা তো বটেই, অনেক সময়ে গোটা বুক জুড়েই চাপ ও অস্বস্তি অনুভব হলেও তা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। অনেক সময়ে বুকের পেশিতেও টান পড়ে। সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা যায়। এমনটা হলে কিন্তু জিমে যাওয়ার ভুল করবেন না।
২) পেটব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব— প্রাথমিক ভাবে গ্যাস-অম্বলের লক্ষণ বলে মনে হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম একটি লক্ষণ হতে পারে এটি। খুব পেটব্যথা হলে সে দিনে জিমে না যাওয়াই ভাল।
৩) হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে কেবল বুকের সম্পর্ক আছে, এমন ধারণা ভুল। হাত, ঘাড়, কাঁধে ব্যথা হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেট এমনকি, চোয়ালে ব্যথা হলেও সে দিন জিমে যাবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy