এখনকার দিনের অন্যতম বড় সমস্যা হৃদ্রোগ। যদি হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হয়, তা হলে সবচেয়ে প্রথমে নজর দিতে হবে রোজের শরীরচর্চা এবং ডায়েটের দিকে। সবই শুরু করতে হবে যত শীঘ্র সম্ভব। ছাড়তে হবে ধূমপানের মতো বদভ্যাস। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসের মতো শত্রুকে। চিকিৎসকেরা বলেন, নিয়ন্ত্রিত ব্যায়ামই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। হৃদ্রোগের ঝুঁকি যদি কমাতে হয়, তা হলে ব্যায়ামের অন্য কোনও বিকল্প নেই।
ব্যায়াম মানে একেবারেই তাড়াহুড়ো করে শরীরকে জোর করে মানিয়ে নয়। বরং কী ভাবে ব্যায়াম করছেন আর কী কী ব্যায়াম করছেন, তা জরুরি। যোগাসনের এমন কিছু পদ্ধতি আছে, যা হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে অভ্যাস করুন তিন আসন
গোমুখাসন
ম্যাটের উপর সোজা হয়ে বসুন। দুই হাত থাকুক কোলের উপর। এ বারে বাম হাত কোমরের নীচের দিক থেকে পিঠের দিকে তুলুন। ডান হাত ঘাড়ের পিছন থেকে নীচের দিকে নামান। ডান হাত দিয়ে বাম হাতের আঙুল ধরার চেষ্টা করুন। আসন শুরুর দিকে দুই হাতের আঙুল ধরা মুশকিল হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে মনে মনে ২০ গুনতে হবে। নিয়মিত এই আসন অভ্যাস করলে হার্ট ভাল থাকবে, ফুসফুসের জোর বাড়বে।
আরও পড়ুন:
তাড়াসন
সংস্কৃতে ‘তাড়’ শব্দের অর্থ হল পর্বত। অর্থাৎ, এই আসনে দেহের ভঙ্গি হবে অনেকটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সুবিশাল পর্বতের মতো। তাই এই আসনকে বলে ‘মাউন্টেন পোজ়’। পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। দুই হাত দু’পাশ থেকে তুলে, কনুই ভাঁজ করে নিয়ে যান মাথার পিছন দিকে। এ বার দু’হাতের আঙুল একত্রিত করে হাতের তালু রাখতে হবে মাথার পিছন দিকে। শ্বাস নিতে নিতে হাত দু’টি মাথার উপর দিয়ে প্রসারিত করুন। গোড়ালি মাটি থেকে উপর দিকে তুলে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থেকে আগের অবস্থানে ফিরে আসতে হবে।
উৎকটাসন
দুই পায়ের মধ্যে সামান্য ব্যবধান রেখে প্রথমে ম্যাটের উপর টানটান হয়ে দাঁড়াতে হবে। এর পর হাঁটু ভাঁজ করে কোমর থেকে পিঠ সামনের দিকে সামান্য প্রসারিত করুন। দুই হাত দুই কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর তুলতে হবে। মনে মনে কল্পনা করুন, যেন চেয়ারে বসছেন। সেই অদৃশ্য চেয়ারে বসতে গেলে শরীরের ভঙ্গি যেমনটা হওয়া উচিত, তেমনটাই হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।