যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে যে হরমোনগুলি, সকালবেলা তার মাত্রাও অনেক বেশি থাকে। ছবি- সংগৃহীত
পূর্ণমাত্রায় শারীরিক সুখ পেতে দিনের কোন সময়ে সঙ্গম করা উচিত, এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকে মনে করেন, রাতের অন্ধকারে সঙ্গীর শরীরী ভাঁজ যৌনতায় আলাদা মাত্রা এনে দিতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, রাত নয়, ভোরের স্নিগ্ধতা শারীরিক চাহিদা অন্য এক মাত্রায় নিয়ে যায়। মিলনের প্রভাব শুধু যে মনের উপর পড়ে, তা নয়। শারীরিক অনেক সমস্যাও বশে রাখতে পারে যৌনক্রিয়া। কিন্তু দিনের ঠিক কোন সময়ে শারীরিক ভাবে মিলিত হলে তা অনেক বেশি উপভোগ করা যায়, তা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, সারা রাত শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পাওয়ার পর ভোরবেলা অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। পাশাপাশি, যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে যে হরমোনগুলি, সকালবেলা তার মাত্রাও অনেক বেশি থাকে। তাই চরম তৃপ্তি পাওয়ার জন্য সকালে মিলনে লিপ্ত হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
এ ছাড়া আর কী কী উপকার মেলে?
১) মন ফুরফুরে করে তোলে
সারা রাত ঝগড়ার পর, সকালের যৌনতা মনে এনে দিতে পারে মুক্ত বাতাস। চিকিৎসকেরা বলেন, শারীরিক মিলনের ফলে শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ এবং ‘ডোপামাইন’ নামক দু’টি হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে সারা দিন মনমেজাজ চাঙ্গা থাকে। একমনে কাজ করতেও সমস্যা হয় না। কাজের যতই চাপ থাকুক, তার ছাপ শরীরে বা মনে পড়তে পারে না।
২) প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
ঘুম ভাঙার পর সকালে যৌন সঙ্গম করলে, শরীরে ইমিউনোগ্লোবিউলিন নামক বিশেষ এক প্রকার প্রোটিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। বিশেষ এই যৌগটি শরীরে রোগ প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। শরীরে এই ইমিউনোগ্লোবিউলিনের উপস্থিতি অন্য রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।
৩) স্মৃতিশক্তি ভাল করে
শারীরিক সঙ্গমের ফলে বিভিন্ন হরমোনের মাত্রা একসঙ্গে ওঠানামা করতে থাকে। ঘুম থেকে ওঠার পর, মিলনের ফলে হঠাৎ হরমোনের ভারসাম্যে এত পরিবর্তন মস্তিষ্ককে আরও সজাগ করে তোলে। মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বেড়ে গেলে তার প্রভাব সারা দিন ধরেই কাজের মধ্যে ফুটে ওঠে। শুধু কি তাই? যৌনক্রিয়ার ফলে স্মৃতিশক্তিও উন্নত হয় বলে চিকিৎসকদের দাবি।
৪) শরীরচর্চা করার প্রয়োজন পড়ে না
প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে, ঘাম ঝরিয়ে শরীরচর্চা কারই বা ভাল লাগে বলুন তো? বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, প্রসঙ্গ যখন ক্যালোরি পোড়ানোর, তখন তা সকালের সঙ্গমেও হতে পারে। বরং কিছু ক্ষেত্রে শরীরচর্চার চেয়ে বেশি উপকারী সকালবেলা শারীরিক সঙ্গম করা। কারণ, মিলনের ফলে ওজন তো ঝরেই। পাশাপাশি, এমন অনেক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে মন ভাল থাকে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ভঙ্গিমায় শারীরিক মিলন করলে ‘স্ট্রেচিং’-এর মতোই উপকার মেলে।
৫) যৌনস্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে
সারা দিনের ক্লান্তির পর, মন চাইলেও শরীর সে ভাবে সাড়া না-ও দিতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘুম থেকে ওঠার পর শারীরিক ভাবেও সুস্থ বোধ করেন বেশির ভাগ মানুষ। তাই এই সময়ে শারীরিক মিলন অনেক বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। বিভিন্ন হরমোনের প্রভাবে যৌনইচ্ছাও জেগে ওঠে এ সময়ে। তাই যৌনক্রিয়ার শেষে তৃপ্তি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy