সুগঠিত দেহ, মজবুত মাংসপেশি, ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রোটিন শেকের রমরমা শুরু হয়েছে একবিংশ শতাব্দীর প্রাক্কাল থেকেই। হৃতিক রোশন, টাইগার শ্রফ, রণবীর কপূর, জাহ্নবী কপূরের মতো ভারতীয় তারকারা এই ধারায় পা মিলিয়েছেন বহু কাল ধরেই। তাঁদের দেখাদেখি প্রোটিন শেকে ভরসা রেখেছেন সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশ। কিন্তু বর্তমানে খাদ্যপণ্যে ভেজাল নিয়ে নানাবিধ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, প্রোটিন শেকে স্টেরয়েড, রাসায়নিক, টক্সিন বা ভারী ধাতু মেশানো হচ্ছে। ফলে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।
‘পাবমেড’-এ প্রকাশিত ২০২৪ সালের একটি গবেষণাপত্রে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যেখানে গবেষকেরা ভারতে বিক্রি হওয়া ৩৬টি জনপ্রিয় প্রোটিন পাউডার পরীক্ষা করেছেন। ১৩.৯ শতাংশ নমুনায় ফাঙ্গাল টক্সিন পাওয়া গিয়েছে, ৮.৩ শতাংশ নমুনায় কীটনাশকের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, তামার মতো ভারী ধাতুও মিলেছে একাধিক নমুনায়। তা ছাড়া স্টেরয়েডও রয়েছে।
সুতরাং এমনই একাধিক উদ্বেগজনক সংবাদে পর অনেকেই প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট থেকে দূরে থাকতে চাইছেন। তায় আবার আপনি যদি ভিগান খাওয়াদাওয়ায় অভ্যস্ত হন, তা হলে তো আরওই সমস্যায় পড়তে হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার হেঁশেলের উপকরণ দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন উদ্ভিজ্জ প্রোটিন পাউডার।
বাড়িতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন পাউডার তৈরি করতে কী কী লাগবে?
উপকরণ
৪০ গ্রাম ছাতু
৪০ গ্রাম ওটস
৪০ গ্রাম চিনাবাদাম
২০ গ্রাম তিসির বীজ
১৫ গ্রাম আমন্ড
উদ্ভিজ্জ প্রোটিন পাউডার তৈরি করতে কী কী লাগবে? ছবি: সংগৃহীত।
প্রণালী
সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে পিষে নিন। বায়ুনিরোধক পাত্রে ভরে রেখে দিন। যখন প্রোটিন শেক খেতে চাইবেন, দুই টেবিলচামচ (প্রায় ৬৫ গ্রাম) গুঁড়ো নিন একটি গ্লাসে। প্রয়োজন মতো এবং স্বাদ অনুযায়ী জল বা আমন্ড দুধ বা কাজুবাদামের দুধে যোগ করুন। মিষ্টির প্রয়োজন পড়লে গুড় এবং কোকো পাউডার মিশিয়ে দিতে পারেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, অ্যালার্জি পরীক্ষা করিয়ে আপনিও প্রাকৃতিক ভাবে বানানো এই প্রোটিন শেক খেতে পারেন। বাজারজাত পণ্যের থেকে নিরাপদ।