মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমতে শুরু করলে তা পেশিতেও প্রভাব ফেলে। ছবি: শাটারস্টক
স্ট্রোক হওয়া মানেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার প্রয়োজন। যত দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় ততই কমে মৃত্যুর আশঙ্কা। চিকিৎসায় সামান্য দেরি হলেই ঘটতে পারে বিপদ। কিন্তু কখনও কখনও একটু আগে থেকে সতর্ক হওয়া গেলে বড় বিপদ এড়িয়ে যাওয়া যায়।স্ট্রোক নানা ধরনের হয়। কিন্তু ইস্কিমিক স্ট্রোক দেখা যায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে। মূলত মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার কারণেই হয় এই ধরনের স্ট্রোক।এ ক্ষেত্রে প্রধান উপসর্গ হল হাত ও পা দুর্বল-শিথিল হয়ে যাওয়া। স্ট্রোকের অন্যান্য উপসর্গও হঠাৎ দেখা দেয়। কিন্তু এই উপসর্গটি দেখা দেয় বাকি সব লক্ষণ জানান দেওয়ার আগেই। হাত-পা নাড়াতে সমস্যা হয়। প্যারালিসিসের শুরু হয় এ সময় থেকে। কোনও কাজ করতে গেলেই হাত-পা বাধা তৈরি করতে পারে।আমাদের সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের সঙ্কেতই আসে মস্তিষ্ক থেকে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমতে শুরু করলে তা পেশিতেও প্রভাব ফেলে। পেশি শক্ত হয়ে যেতে শুরু করে। তাই হাত-পা নাড়াতেও তখন সমস্যা হয়।
এ ছাড়াও স্ট্রোকের অন্য কোনও লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হতে হবে।কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) আচমকা শরীরের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়া।
২) হঠাৎ এক চোখে বা দুই চোখেই দৃষ্টি হারিয়ে ফেলা।
৩) মুখের এক দিক বেঁকে যাওয়া।
৪) কথা বলতে গিয়ে কথা জড়িয়ে যাওয়া।
৫) বাহুতে ব্যথা হওয়া।
চিকিৎসকদের মতে, এই সব লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী ভাল হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। স্ট্রোক হওয়ার পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় রোগী সঠিক চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। তাই সময় একেবারেই নষ্ট করা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy