Advertisement
২৮ মার্চ ২০২৩
Hyperhidrosis

খেতে বসে দরদর করে ঘামেন? শরীরে কি কোনও রোগ বাসা বাঁধল? কখন সতর্ক হবেন?

অত্যধিক ঘাম বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর নয়। তবে কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় বেশি ঘাম উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। কোন ক্ষেত্রে বেশি ঘাম ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে?

Image of Sweating

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসেও হাত-পা ঘেমে যায় অনেকের। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০০
Share: Save:

তীব্র গরমে ঘেমেনেয়ে একশা হন কম-বেশি সকলেই। এক এক জনের ক্ষেত্রে ঘাম হওয়ার পরিমাণ আলাদা। কেউ কম ঘামেন। কারও আবার অতিরিক্ত ঘাম হয়। এমনকি, শীতকালেও ঘামেন কেউ কেউ। কেউ খেতে বসলেই ঘেমে যান, আবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসেও হাত-পা ঘেমে যায় অনেকের। কিন্তু ঘাম নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না অধিকাংশই।

Advertisement

অনেক সময়ে ঘাম অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। অত্যধিক তাপমাত্রা ঘামের একমাত্র কারণ নয়। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে কোনও শারীরিক কসরত করলেও অনেকে ঘেমে যান। তবে ঘাম আটকানোর কোনও উপায় নেই। শরীরের অতিরিক্ত জল এবং খনিজ পদার্থ ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ঘামের প্রধান কাজ হল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। শরীর ঠান্ডা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঘাম। এ ছাড়াও ঘাম হওয়ার কিছু উপকারিতা আছে। সেগুলি কী কী?

ওজন কমায়: শরীরচর্চার পর যে ঘাম হয়, তা আসলে জমে থাকা ক্যালোরি। শারীরিক কসরতের মাধ্যমে প্রতি দিন এ ভাবে নিয়ম করে ঘাম ঝরালে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

ত্বক যত্নে রাখে: ঘাম হল জীবাণু এবং ব্যাক্টেরিয়া থেকে ত্বকের অন্যতম সুরক্ষা। ঘাম হওয়ার সময়ে ত্বকের ছিদ্রগুলি উন্মুক্ত হয়ে যায়। ফলে ত্বকের কোষে জমে থাকা তেল, ময়লা ঘামের মধ্যে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। এই ময়লা ও তেল জমেই ব্রণ তৈরি হয়। ঘাম ব্রণর সমস্যা প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও ত্বকের কোষগুলি প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অক্সিজেন দিয়ে পুষ্ট করে ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

Advertisement

পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়: বিভিন্ন খনিজ পদার্থ কিডনিতে জমা হয়ে পাথরের সৃষ্টি হয়। ঘাম সেই খনিজ পদার্থগুলি শরীরের বাইরে বার করে দিতে সাহায্য করে। ফলে পিত্তাশয়ে পাথরের আশঙ্কা কম থাকে।

Image of sweating

বিশেষ শারীরিক অবস্থায় বেশি ঘাম উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। ছবি: শাটারস্টক।

অত্যধিক ঘাম বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিকারক নয়। তবে কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় বেশি ঘাম উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। কোন ক্ষেত্রে বেশি ঘাম ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে?

১) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়।

২) শরীরে থাইরয়েডের রোগ বাসা বাঁধলে।

৩) দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসে ভুগলে।

৪) পার্কিনসন্স রোগ থাকলে।

৫) ঋতুবন্ধের সময়ে।

৬) আর্থারাইটিসের সমস্যা থাকলে।

৭) লিউকিমিয়া বা লিম্ফোমা ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.