ডায়েট বজায় রেখেই কী খাওয়ানো যায় জামাইকে? ছবি: সংগৃহীত।
জামাইষষ্ঠী মানেই শাশুড়িমার বাড়িতে ভূরিভোজের আয়োজন। সকালে শ্বশুরমশাইয়ের বাজারের থলি ভর্তি করে তিন-চার রকম মাছ, পাঁঠার মাংস, শাকসব্জি নিয়ে আসা আর শাশুড়ির ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সেই হরেক রকম পদ বানানো। আম পোড়ার শরবত থেকে শেষপাতের পায়েস কিছুই বাদ পড়ে না সে দিন।
একটা সময় ছিল যখন জামাইয়ের সামনে বারো পনেরো রকম পদ সাজিয়ে খেতে দিতেন শাশুড়িরা। জামাই বাবাজীবন সেই সব পদগুলি শেষ না করলে ওঠা দায়। তবে এখন সব জামাই কমবেশি স্বাস্থ্য সচেতন। কারও শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল তো কেউ আবার ওজন কনানোর জন্য করছেন কড়া ডায়েট। আপনার জামাইও কি ওজন ঝরানোর জন্য ডায়েট শুরু করেছেন? আগে থেকেই ফরমায়েশ এসেছে খুব তেল মশলা দেওয়া খাবার খাবেন না তিনি। কী বানানো যায়, ভেবেই নাজেহাল? পুষ্টিবিদ ও যাপনসহায়ক অনন্যা ভৌমিক জানালেন জামাইয়ের শরীরের খেয়াল রেখেও কী ভাবে উদ্যাপন করা যায় দিনটি। ওজন ঝরানোর জন্য ডায়েট করছেন এমন জামাইদের জন্য কী কী খাবার বানাতে পারেন, দিলেন তার হদিস।
প্রথম পাতে দিতে পারেন ডাবের শরবত। সেই শরবতে এক ফোঁটা গোলাপ জল আর দুই চা চামচ তুলসীর বীজ মিশিয়ে পরিবেশন করুন। খাওয়ার পাতে ৩০ গ্রাম ব্রাউন রাইস। মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল দেড় কাপ মতো। সঙ্গে ২টি হরিয়ালি ভেটকি, ২ টুকরো গন্ধরাজ মুরগির ঝোল, এক বাটি স্যালাড। শেষপাতে সুগার ফ্রি দিয়ে তৈরি করা আমের চাটনি সঙ্গে পাপড় পোড়া। পায়েস খেতে ভালবাসলে ডাবের পায়েস দিতে পারেন তার মধ্যে অবশ্যই দিয়ে দিন চিয়া বীজ! তবে মিষ্টি মাত্রা সম্পর্কে সচেতন থাকুন। প্রয়োজনে কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy