বাজি পোড়ানোর সময় কিছু জরুরি সতর্কতা কমবেশি সকলেই মেনে চলেন। তবু মুহূর্তের অসাবধানতায় বা বাজির হঠাৎ বিস্ফোরণে বিপদ ঘনাতেই পারে। পুড়ে গেলে বা বাজির বিস্ফোরণের শিকার হলে সেই সময় জ্বালা কমাতে অনেকেই ঘরোয়া কিছু টোটকা ব্যবহার করে থাকেন। নিজের মতো চিকিৎসা করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই কিছু ভুল হয়ে যায়। তা থেকে জন্ম নেয় বড় কোনও সমস্যা। পুড়ে গেলে কোন ভুলগুলি করবেন না?
ফোস্কা গালবেন না: পুড়ে গেলে ক্ষতস্থানে অনেক সময় ফোস্কা পড়ে যায়। ব্যথা কমাতে অনেকেই সেই ফোস্কা গালিয়ে ফেলেন। এতে সংক্রমণ ঘটতে পারে। ফোস্কা নিজে থেকে না ফাটলে জোর করে ফাটানোর দরকার নেই। বরং চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন।
পোড়া জায়গায় টুথপেস্ট নয়: পুড়ে গেলেই জ্বালা কমাতে ক্ষতস্থানে টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেশি থাকে। টুথপেস্ট নয়, বরং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল কোনও মলম লাগাতে পারেন। ক্ষত কমাতে মাখন বা মেয়োনিজ ভুলেও লাগাবেন না।
পোড়া জায়গায় বরফ নয়: পোড়া জায়গায় বরফ ঘষে নিলে সাময়িক ভাবে জ্বালা কমে। কিন্তু এতে ওই স্থানের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পোড়া স্থানে ঠান্ডা জল ব্যবহার করাও ঠিক নয়। স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলে হাত ডুবিয়ে রাখতে পারেন, তবে খুব বেশি ক্ষণ তা-ও চলবে না।
অপরিষ্কার হাতে ক্ষতস্থান ধরবেন না: রান্না করতে গিয়ে প্রায়শই হাত পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই সময় ভাল করে দু’হাত ধুয়ে নেওয়া জরুরি। রান্না করার সময় হাতে নুন, তেল, হলুদ লেগেই যায়। সেই হাতে ক্ষতস্থান স্পর্শ করবেন না। এতে ক্ষত থেকে সমস্যা বাড়তে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিক খান সাবধানে: ক্ষত খুব গুরুতর না হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে নেওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ খান।