অনেকের কাছেই হয়তো অপ্রীতিকর, অস্বস্তিজনক। কিন্তু এটিও সত্য। শারীরিক অবস্থার কারণেই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের গায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। লোকে কী বলবে, সেই চিন্তায় অনেকেই মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেন না। আবার ভ্রুণের ক্ষতি হওয়ার ভয়ে সুগন্ধিও মাখতে পারেন না। কিন্তু বলিউডের এক অভিনেত্রীই সম্প্রতি ছক ভাঙলেন। হবু মায়েদের গায়ে গন্ধ তৈরি হওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে ছুতমার্গের বিরোধিতা করলেন গওহর খান।
গর্ভাবস্থায় শরীরে দুর্গন্ধ হওয়া বেশ স্বাভাবিক, কিন্তু অনেকেই সে কথা জানেন না। গওহর তাঁর পডকাস্টে বলছেন, ‘‘এই সময়ে হরমোন আপনার গায়ের গন্ধের প্রকৃতি পাল্টে ফেলে। কিন্তু এতে কোনও সমস্যা নেই। এই ঘটনা স্বাভাবিক। যদি সম্ভব হয়, তা হলে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু আমি বলছি, গর্ভাবস্থায় দুর্গন্ধ থাকলে বিব্রত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রসবের এক বা দু’মাস পর আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন। নিজের যে গায়ের গন্ধ আপনার চেনা, সেটিই ফিরে পাবেন।’’
দ্বিতীয় বার মা হচ্ছেন গওহর। তাই মাতৃত্বকালীন অবস্থা সম্পর্কে অবহিত তিনি। তা সত্ত্বেও নাকি নানা ধরনের নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে গওহরের। আর তাই তাঁর মতো হবু মায়েদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য, কাঁধে কাঁধ রাখার জন্য পদক্ষেপ করলেন অভিনেত্রী।
গর্ভাস্থায় অতিরিক্ত ওজনের কারণে এমনিতেই ঘাম বেশি হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ঘাম গ্রন্থিগুলি অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে এ সময়ে। ফলে শরীরের দুর্গন্ধ তীব্র হয়ে যায়। ঘাম যখনই ত্বকে বসে যায়, তখন এতে ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। ফলে এমন গন্ধ সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া হবু মায়েদের শরীরে হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে এস্ট্রাডিওলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গায়ে গন্ধ হতে পারে। হরমোনগুলি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে যৌনাঙ্গ এবং বাহুমূলে।