কিশমিশে থাকা লেপটিন ফ্যাট ঝরাতেও সাহায্য করে।
খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও শারীরিক যত্নের অভাবে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগব্যাধি। অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি আমরা। খারাপ কোলেস্টেরলের সমস্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা, প্রয়োজনীয় শারীরিক কসরত তো করবেনই, তার সঙ্গে ডায়েটেও কিছু বিশেষ খাবার যোগ করার প্রয়োজন পড়ে।
চিকিৎসকরাও অনেক সময় বেশ কিছু ঘরোয়া পানীয়ে আস্থা রাখার কথা বলেন। তেমনই এক কার্যকর একটি পানীয় কিশমিশ ভেজানো জল। হৃদ্স্পন্দনের হার ঠিক রাখা, শরীরে ক্যালশিয়ামের জোগান, খারাপ কোলেস্টেরলকে ঠেকিয়ে রাখা এবং ওজন বাগে আনতে এই জল বিশেষ ভূমিকা রয়েছে
কিশমিশে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে অতিরিক্ত শক্তির জোগান দেয়। রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতেও এই জল খুবই কার্যকর। মেয়েরা রক্তাল্পতাজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন বলে এই পানীয় তাঁদের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তা-ই নয়, পেটের অসুখ থেকে যকৃতের যে কোনও অসুখ, রক্ত পরিশোধন ইত্যাদি নানা কাজেই কিশমিশ উপকারী।
কী ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কিশমিশ?
১) কিশমিশে ক্যালোরির মাত্রা কম থাকে। কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও লেপটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখে। লেপটিন ফ্যাট ঝরাতেও সাহায্য করে।
২) কিশমিশে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমশক্তি ভাল রাখতে বেশ উপকারী। হজম ভাল হলে বিপাক হার বাড়ে, ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) খালি পেটে শরীরচর্চা করা মোটেই ভাল নয়। ব্যায়ামের আগে কিশমিশ খেলে শরীরে দ্রুত শক্তির সঞ্চার হয়। কিশমিশ ভেজোনো জল খেলেও আপনি শরীরচর্চা করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পাবেন।
এই পানীয় খাওয়ার নিয়ম জানেন?
১০০ গ্রাম কিশমিশ ভাল করে ধুয়ে এক গ্লাস জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই জল ছেঁকে খালি পেটে খেয়ে নিন। ভাল ফল পেতে ছাঁকা জল খানিক গরম করেও খেতে পারেন। তবে এই পানীয়র পর আধ ঘণ্টা আর কিছু খাবেন না। সপ্তাহে পাঁচ দিন এই জল খেলে শারীরিক নানা সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy