৪৩ বছরে পা দিলেন সদ্য। ‘রামায়ণ’ ছবিতে রাম চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিজের জীবনে সম্পূর্ণ বদল এনেছেন রণবীর কপূর। মদ এবং আমিষ খাবার ত্যাগ করেছেন অভিনেতা। অভিনয় ও স্বাস্থ্যের জন্য কৃচ্ছ্রসাধনে যেতে দ্বিধাবোধ করেন না তিনি। এমনই এক সময়ে টানা দেড় বছর রুটি খাননি রণবীর। দেহের আকারে বদল আনার জন্য খাওয়াদাওয়ার সম্পূর্ণ পরিবর্তন আনতে হয়েছিল তাঁকে। নিয়মিত শরীরচর্চা, পরিশ্রম আর কঠোর ডায়েটের ফলেই সুঠাম দেহ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
সেই দেড়টা বছর তাঁর খাদ্যতালিকায় ছিল কম পরিমাণে শর্করা, বেশি প্রোটিন আর স্বল্প ফ্যাট। লক্ষ্য ছিল, শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি ঝরানো ও পেশি গঠন করা।
প্রতি দিন কী কী খেতেন রণবীর?
সকালের খাবার:
ডিম, প্রোটিন শেক, আর এক টুকরো ব্রাউন ব্রেডের টোস্ট।
দুপুরের খাবার:
ব্রাউন রাইস, সেদ্ধ মুরগির মাংস, ডাল আর সব্জি।
বিকেলের খাবার:
ড্রাই ফ্রুটস আর প্রোটিন শেক।
রাতের খাবার:
সাধারণত হালকা কিছু। ব্রাউন রাইস, টোস্ট, অথবা বিরিয়ানি। তবে রুটি বা পরোটা এড়িয়ে চলতেন।
বিরিয়ানি মানেই যে অস্বাস্থ্যকর, তা নয়। চালের পাশাপাশি বিরিয়ানিতে ডিম, মাংস ইত্যাদি সব থাকে। ফলে একটি খাবার থেকেই তিনি কার্বোহাই়ড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট শরীরে পৌঁছে যেতে পারে। যা রুটির ক্ষেত্রে তো একেবারেই সম্ভব নয়। উপরন্তু চিট-ডে-তে রণবীর বার্গার খেতেও পছন্দ করেন। তেমনই বিরিয়ানি খেলেও মন ও পেট সবই ভরে।
রণবীর বাইরের তেল-ঝাল খাওয়া একেবারে এড়িয়ে যান। মিষ্টিও পছন্দ করেন না। সব সময়ই বাড়ির রান্না খাওার পক্ষপাতী। প্রতি দিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোন, প্রচুর জল খান ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন।