কাজের কারণেই হোক বা সিনেমা দেখার জন্য, অনেককেই রাত জাগতে হয়। ছবি: সংগৃহীত।
রাতে একাধিক বার প্রস্রাব করতে ওঠার ঠেলায় ঘুমের বারোটা বাজলে অনেকে ধরেই নেন, শরীরে নিশ্চয়ই ডায়াবিটিস বাসা বেঁধেছে। তবে রাতে বার বার প্রস্রাবের বেগ আসা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে সারা দিনের ক্লান্তি ভাব, মেজাজ সব সময়ে বিগড়ে থাকা— চিকিৎসকেরা বলেন এই সব আদতে ‘নকটুরিয়া’র লক্ষণ হতে পারে। রাতে একাধিক বার প্রস্রাবের ঠেলায় ঘুম নষ্ট, এই রোগকেই বলা হয় নকটুরিয়া। চল্লিশের কোঠায় অনেক পুরুষই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। বয়স পঞ্চাশ পেরোনোর পর থেকে সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। নানা কারণে হতে পারে এই সমস্যা।
কী কী কারণে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধে?
কর্মসূত্রের কারণেই হোক বা সিনেমা দেখার জন্য, অনেককেই রাত জাগতে হয়। ‘বডি ক্লক’ পরিবর্তন হলে নকটুরিয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’ থাকলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া, ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ে। অ্যান্টি-সাইকিয়াট্রিক ড্রাগ বা কিডনির ওষুধ খেলেও প্রস্রাব বেশি পায়। রাতে ঘুম থেকে উঠতে হয় বার বার। এ ছাড়া হৃদ্রোগ, কিডনিতে পাথর এবং মূত্রাশয়ের সমস্যা থাকলেও নকটুরিয়া হতে পারে। কেবল পুরুষদেরই নয়, মেয়েরাও অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এবং ঋতুবন্ধের পর নকটুরিয়ায় ভোগেন। তা ছাড়া, কিডনিতে সংক্রমণ, মূত্রাশয় সংক্রমণের কারণেও কিন্তু এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
এই সমস্যা থেকে কী ভাবে রেহাই পাওয়া সম্ভব?
নকটুরিয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার খুব বেশি জল খাওয়া যাবে না। মদ্যপান যথাসম্ভব এড়িয়ে যান। কিডনির অসুখের ওষুধ খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা দিনের বেলা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy