মদ্যপান থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি সময়ের সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় তেমনই দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, আমেরিকায় মদ্যপান এবং ক্যানসার সম্পর্কিত সমীক্ষায় নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
‘আমেরিকান সোসাইটি অফ ক্লিনিক্যাল অনকোলজি’র তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৯০ সালে যেখানে মদ্যপানের জন্য ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১২ হাজার মানুষের, সেখানে ২০২১ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার। ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’-এর তরফে মদকে ক্যানসারের ক্ষেত্রে ‘গ্রুপ ১’ কার্সিনোজেন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, মুখ, গলা, খাদ্যনালী, যকৃত, কোলোন এবং স্তন— মদ্যপানের সঙ্গে এই শরীরের এই ছয় প্রত্যঙ্গের ক্যানসারের যোগসূত্র রয়েছে। এমনকি, অল্প পরিমাণে মদ্যপানও যে ক্যানসারের অ্যতম কারণ হতে পারে, সে কথাও জানিয়েছে ওই সংস্থা।
আরও পড়ুন:
২০২৪ সালে ‘আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যানসার রিসার্চ’ একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে। সেখান থেকে জানা যায়, আমেরিকায় ৫ শতাংশ ক্যানসারের সঙ্গে সরাসরি মদ্যপানের যোগসূত্র রয়েছে, যেখানে বিষয়টি নিয়ে সে দেশের মাত্র ৫১ শতাংশ জনগণ অবগত। গত বছর মদ্যপানের জন্য আমেরিকায় মহিলাদের মৃত্যুর হার ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে পুরুষদের মৃত্যুর হার বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। বলা হয়েছে, মদ্যপান করেন, ৫৫ বছর বয়সের পর থেকে এ রকম পুরুষদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
মদ্যপান থেকে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়া এবং শেষে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পুরুষ এবং মহিলাদের অনুপাতের পার্থক্য গবেষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারও কারও মতে, পুরষেরা মহিলাদের তুলনায় অনেক অল্প বয়স থেকেই মদ্যপান শুরু করেন বলে তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার হার অনেকটাই বেশি।
চিকিৎসকদের দাবি, মদ্যপানের ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতির পরিমাণ অনেক সময়েই বোঝা যায় না। কিন্তু দীর্ঘকালীন প্রেক্ষিতে তা দেহে ক্যানসারের মতো মারণরোগ তৈরি করতে পারে। তাঁদের মতে, জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া মদ্যপান এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব নয়।