চকোলেট থেকেও ছড়াচ্ছে ব্যাক্টেরিয়া? নামী বিদেশি ব্র্যান্ডের চকোলেটে নাকি থিকথিক করছে সালমোনেল্লা। সেই চকোলেট পেটে গেলেই সর্বনাশ। শিশুরা অবধারিত ভাবে ভুগবে বিষক্রিয়ায়, ‘সালমোনেলোসিস’ –এর মতো মারাত্মক পেটের সংক্রমণ হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
শিশুরা চকোলেট ভালবাসেই। বড়রাও বাদ যান না। আর ঘন দুধে পেস্তা-বাদাম দেওয়া চকোলেট মানেই জিভে জল আসবে। কিন্তু তাতেই যে বিপদ লুকিয়ে আছে, তা কে জানবে! তুরস্কের একটি নামী ব্র্যান্ডের পেস্তা চকোলেট থেকে সালমোনেল্লার মতো ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটছে বলে খবর। আমেরিকার অনেক জায়গায় চকোলেট থেকে বিষক্রিয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। চকোলেট খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন অনেকে। বমি, পেটখারাপ, পেটে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা গিয়েছে শিশুদের। খাদ্যনালিতে বিষক্রিয়ায় ভুগছে অনেক শিশু।
আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) জানিয়েছে, শুধু আমেরিকা নয়, বিশ্বের নানা দেশেই এই চকোলেট খুব জনপ্রিয়। বাজারে বিক্রিও হয়। তাই সাবধান থাকতে হবে। আমেরিকার ৩০টি রাজ্যে সালমোনেল্লার সংক্রমণ ঘটেছে।
আরও পড়ুন:
মূলত পশুর শরীরে এই সালমোনেল্লা টাইফিমিউরিয়াম ব্যক্টেরিয়ার হদিশ মেলে। খাবার ও জলের মাধ্যমে এই ব্যাক্টেরিয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। মাংস, ডিম কিংবা দুগ্ধজাত খাবারের মাধ্যমে এই ব্যাক্টেরিয়া মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। পশু কিংবা মানুষের মল থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে।
সালমোনেল্লা থেকে যে সালমোনেলোসিস রোগ ছড়ায়, তার সঙ্গে টাইফয়েডের অনেক মিল আছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে বমি, পেট ব্যথা, ঝিমুনি ভাব, জ্বর, ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। খাবার বা জলে ৬ থেকে ৭২ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে এই ব্যাক্টেরিয়া। এক বার সংক্রমিত হলে হলে প্রায় সাত দিন ধরে রোগের উপসর্গগুলি থাকতে পারে। শরীরে জলের ঘাটতি বা ডিহাইড্রেশন হতে পারে। অনেক সময়ে শ্বাসকষ্টের উপসর্গও দেখা দেয়। রোগের চিকিৎসা সঠিক সময়ে না হলে, তা প্রাণঘাতীও হতে পারে।