সচিন-কন্যা সারা তেন্ডুলকরের চোখধাঁধানো রূপে মজে তাঁর অনুরাগীরা। সারা কী খান, কী ভাবে শরীরচর্চা করেন, রূপচর্চায় কী কী ব্যবহার করেন— তা নিয়ে কৌতূহলের সীমা নেই। সারার ডায়েট থেকে রূপচর্চার রুটিন— সবই থাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সচিন তেন্ডুলকরের মেয়ের জনপ্রিয়তা প্রচুর। সারা এখন নিজেও একজন পুষ্টিবিদ। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে পাবলিক হেল্থ নিউট্রিশন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যে ডায়েট নিয়ে নানা টিপ্সও দেন। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে সারা একটি বিশেষ ধরনের স্মুদির কথা বলেছেন। জাপানি কায়দায় তৈরি সেই স্মুদি রোজ সকালে খেলে ওজন তো কমবেই, ত্বকের জেল্লাও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। পাশাপাশি, শরীর ‘ডিটক্স’ হবে।
অনেকেই ভাবেন সারা বুঝি কঠিন ডায়েট করেন, অথবা ত্বকের পরিচর্যার জন্য প্রচুর নামী-দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। আদপে তার কোনওটিই নয়। সচিন-কন্যা জানিয়েছেন, তাঁর যাপনপদ্ধতি খুবই সহজ ও ছিমছাম। আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই জীবন কাটাতে পছন্দ করেন তিনি। শুধু কিছু নিয়ম মেনে চলেন। কারণ, একটা সময়ে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে (পিসিওএস) ভুগতে হয়েছে তাঁকে। সে কারণে শরীরে হরমোনের গোলমাল হত, ওজনও বেড়ে যেত। সারার মা অঞ্জলি তেন্ডুলকর যেহেতু নিজে একজন চিকিৎসক, তিনি মেয়ের সুস্থতার জন্য ডায়েট, শরীরচর্চার নিয়ম বেঁধে দিয়েছিলেন।
স্মুদি বানাচ্ছেন সারা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
পিসিওএসে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ওজন বৃদ্ধি। স্থূলত্বের কারণে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে এই রোগ হতে পারে, আবার পিসিওএস হওয়ার কারণেও ওজন বাড়তে পারে। তাই শুরুতেই কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে প্রোটিন ডায়েট শুরু করেন সারা। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংও করেন নিয়ম মেনে। সেই সঙ্গেই একটি বিশেষ স্মুদি খেতে শুরু করেন, যা তাঁর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেটি হল, মাচা প্রোটিন স্মুদি। মাচা চা জাপান, তাইওয়ানে খুবই জনপ্রিয়। ইদানীং ওজন কমাতে মাচা চা খাওয়ার নতুন ধারা শুরু হয়েছে। মাচা দিয়ে রূপচর্চাও করছেন অনেকে। সারা জানিয়েছেন, মাচা চা-য়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, পলিফেনল, অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। এই চা খেলে শরীরে ক্যাফিন কম জমা হয়, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মাচা প্রোটিন স্মুদি কী ভাবে বানান সারা?
উপকরণ
১-২টি খেজুর
১ স্কুপ ভ্যানিলা প্রোটিন
১ স্কুপ কোলাজেন পেপটাইড
১ চামচ মাচা পাউডার
১ কাপ মিষ্টি ছাড়া কাঠবাদামের দুধ
১-২ চামচ আমন্ড বাটার
আইস কিউব
সমস্ত উপকরণ ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তাতে আইস কিউব মিশিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা খেলে পেট ঠান্ডা হবে, শরীর থেকে দূষিত পদার্থও বেরিয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন সারা। এক গ্লাস মাচা প্রোটিন স্মুদিতে প্রায় ৩০-৩৫ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে। রোজ সকালে এই স্মুদি খেলে হজমপ্রক্রিয়া ভাল হবে, ভাজাভুজি খাওয়ার ইচ্ছাও হবে না।