ওজন ঝরানোর পণ করে শরীরচর্চা, ডায়েট শুরু করেছেন। প্রথম তিন মাসের সাফল্যে মুখে হাসিও ফুটেছে। ওজন কমেছে ১০ কেজি। কিন্তু এ কী! তারপরেও একই ডায়েট, নিয়ম মেনে ব্যায়াম— সব কিছুই করছেন, অথচ ওজন কমছে না!
যাঁরা এ নিয়ে চর্চা করেন তাঁরা সকলেই জানেন, প্রথম ধাপে ওজন কমানো যতটা সহজ, পরের ধাপে ততটা নয়। একটা সময় আসে, যখন ওজন স্থির হয়ে থাকে। বাড়েও না, কমেও না। এমন পরিস্থিতিতে কোন উপায়ে লাভবান হতে পারেন, ইনস্টাগ্রামে সেই কৌশল বাতলালেন সমাজমাধ্যম প্রভাবী পুষ্টিবিদ নেহা পরিহার।
তবে তার আগে জানা দরকার, এমনটা কেন হয়?
আরও পড়ুন:
ওজন কমাতে গেলে ক্যালোরি মেপে খেতে হয়। খাবারের পরিমাণ কমলে শরীর তার প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহে পেশি এবং যকৃতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন ব্যবহার করতে শুরু করে। আসলে এটি কার্বোহাইড্রেটেরই একটি রকমফের, যাতে অন্তত ৫০ শতাংশ জল থাকে। প্রথম ধাক্কায় শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় বলে দ্রুত মেদ ঝরে। ওজন কমার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে চর্বি, এমনকি মাংসপেশিও গলে যায়। তার ফলে একটা সময়ে বিপাকহারের গতি হ্রাস পায়। সে কারণেই ডায়েট, শরীরচর্চা সত্ত্বেও ওজন স্থির হয়ে থাকে, কমতে চায় না।
কী ভাবে ওজন কমবে?
বিপাকহার বৃদ্ধিতে জোর দিলেই কাজটি সহজ হয়ে যাবে বলছেন পুষ্টিবিদ নেহা। তাঁর পরামর্শ, শরীরে প্রদাহ কমিয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্যে নজর দিলেই এমন সমস্যার সমাধান হতে পারে।
১. রঙিন খাবারে পাত ভরাতে বলছেন পুষ্টিবিদ। রঙিন খাবার আসলে রকমারি শাক, সব্জি, ফল। তবে তা খেতে হবে পরিমাণ বুঝেই। বিভিন্ন শাকসব্জিতে থাকে ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা প্রদাহ কমাতে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
২. পুদিনা চা বা কিছু ভেষজ চা রাখতে হবে খাবারের তালিকায়।এই ধরনের চা হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দূর করতে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. ফারমেন্টেড বা মজানো খাবার, দই, ইয়োগার্টের মতো প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার রাখা দরকার তালিকায়।
৪. খেতে হবে চিয়ার জল। চিয়া হজমে সহায়ক, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। পাশাপাশি, পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
৫. তালিকায় রাখা দরকার পরিমিত পরিমাণে তিসি বীজ। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। পেট ভাল রাখতে এবং পরোক্ষে বিপাকক্রিয়ার হার বৃদ্ধিতে তা সাহায্য করে।