ঘুমনোর এই অভ্যাসে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। প্রতীকী ছবি।
কোলবালিশ না থাকলে ঘুম আসতে চায় না অনেকেরই। কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোতে এতটাই ভালবাসেন, যে ঘুমের মধ্যে হাতের সামনে কোলবালিশ না থাকলে অনেক সময় ঘুমও ভেঙে যায়। দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে ফিরে পাশবালিশে পা তুলতেই ঘুমে বুজে আসে চোখের পাতা। এমন করে ঘুমোনোর অভ্যাসে যত স্বস্তিই মিলুক না কেন, দুই হাঁটুর মাঝে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোনো আদৌ স্বাস্থ্যকর কি না, তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। অনেকেরই মনে হয় এ ভাবে ঘুমোনো শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। কারও আবার ঠিক উল্টোটাই মনে হয়। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা কী জানাচ্ছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসকদের মতে, দুই ঊরুর মাঝখানে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোনোর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ঘুমনোর এই অভ্যাসে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। বরং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে দুই হাঁটুর মাঝে রেখে অনায়াসে ঘুমোতে পারেন।
সারা বিশ্বে প্রায় ২৩ শতাংশ মানুষ কোমর আর পিঠের ব্যথায় ভুগছেন। বিভিন্ন কারণে এই ব্যথা হতে পারে। তবে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম একটি উপায় হল ঘুমোনোর ভঙ্গি বদলে নেওয়া। দুই হাঁটুর মাঝখানে কোলবালিশ রেখে ঘুমোলে মেরদণ্ড স্বাভাবিক ভঙ্গিতে থাকে। কোমরের হাড়ের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে। কোলবালিশে পা তুলে দেওয়ার অভ্যাসে দূর হবে এই ব্যথা।
পিঠের নীচের অংশে ব্যথা আছে? তা হলে সাহায্য করতে পারে কোলবালিশ। কোলবালিশ পায়ের মাঝে থাকলে কোমর ও পিঠের নীচের অংশ যে ভঙ্গিতে থাকে, তাতেই স্বস্তি মেলে।
‘টি’-এর মতো বিশেষ আকারের কোলবালিশ ব্যবহার করতে পারেন অন্তঃসত্ত্বারা। এতে ঘুমের সময়ে মেরুদণ্ড যেমন আরামদায়ক অবস্থায় থাকে, তেমনই ঠিক থাকে ভ্রূণের অবস্থান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy