পিসিওডির সমস্যা কমবে খাওয়াদাওয়ায় বদল আনলেই। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউড তারকা থেকে সাধারণ মানুষ— ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ অর্থাৎ পিসিওডির সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, প্রতি বছরে পিসিওডি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মূলত ‘হরমোনাল ডিজ়অর্ডার’ এই শারীরিক সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে। পিসিওডি থাকলে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটে। অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। পিসিওডি থাকলে জীবনযাপনে কিছুটা রাশ টানা জরুরি। শুধু ওষুধ খেয়ে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। বদল আনতে হবে জীবনে। দৈনন্দিন জীবনের ৩ পরিবর্তনেই জব্দ হবে পিসিওডি।
সুষম খাবার খান
খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চললে পিসিওডি থাকলেও বাড়াবাড়ি হওয়ার ভয় নেই। এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলা উচিত। বাইরের ভাজাভুজি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। স্বাস্থ্যকর খাবার যত বেশি করে খাবেন, পিসিওডি নিয়ে চিন্তা তত কমবে।
কম ‘জিআই’ যুক্ত খাবার খান
কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে পিসিওডির সমস্যা কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকছে। তাই ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ কম আছে, এমন খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন ধরনের শস্য, সবুজ শাকপাতা, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, নানা ধরনের ডাল— বেশি করে খান। এ ধরনের খাবার শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা পিসিওডির ক্ষেত্রে অন্যতম সুরক্ষাকবচ।
বাইরের খাবার খাওয়ায় রাশ টানুন
চিনিযুক্ত খাবার, সোডাজাতীয় পানীয়, ভাজাভুজি— একেবারেই খাবেন না পিসিওডি থাকলে। কারণ, এগুলি ওজন বাড়িয়ে দেয়। বিকল্প হিসাবে খেতে পারেন এমন কিছু খাবার, যেগুলি শরীরের যত্ন নেয়। কাঠবাদাম, ড্রাই ফ্রুটস, ফল বেশি করে খান। অনেকটাই সুস্থ থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy