‘মোশন সিকনেস’ কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু বাস কিংবা গাড়ি নয়, বিমান কিংবা নৌকাবিহার করলেও অনেকের গা গোলায়, বমি পায়। পাহাড়ের পাকদণ্ডী পথে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘মোশন সিকনেস’। দীর্ঘ ক্ষণ কোনও যানবাহনে চড়লেই এমন সমস্যা দেখা দেয় কেন? চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিভিন্ন রকম ভাবে গতি অনুভব করে। সেই সব অঙ্গ থেকে সঙ্কেত সরাসরি পৌঁছে যায় মস্তিষ্কে। বিভিন্ন দিক থেকে আসা আলাদা, আলাদা সঙ্কেত গ্রহণ করে মস্তিষ্কের স্নায়ুও ধাঁধায় পড়ে যায়। কী করতে হবে বুঝে উঠতে পারে না। তখনই মাথা ঘোরা, গা গোলানো, বমি বমি ভাব দেখা দেয়। তবে, ‘মোশন সিকনেস’ কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
মোশন সিকনেস নিয়ন্ত্রণ করতে গাড়িতে ওঠার আগে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) চলন্ত বাসে উঠে বই পড়বেন না বা মোবাইলে কোনও লেখা পড়বেন না।
২) যাঁরা এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা বাস বা গাড়িতে উঠে সব সময়ে সামনের সিটে বসার চেষ্টা করুন। পিছনের দিকে না বসাই ভাল।
৩) বমি পেলে বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে বাস বা গাড়ির জানলা খুলে দিন। বাইরের হাওয়া আপনাকে সতেজ রাখবে।
৪) ভ্রমণের সময়ে সঙ্গে রাখতে পারেন জোয়ান, গন্ধলেবুর পাতা, জল। এগুলি সাময়িক ভাবে আপনাকে স্বস্তি দেবে।
৫) যে দিকে গাড়ি চলছে সে দিকে মুখ করে বসুন।
৬) ভ্রমণের আগে ভরপেট না খাওয়াই ভাল। হাল্কা কোনও খাবার খেয়ে গাড়িতে উঠুন। তবে ভুলেও খালি পেটে উঠবেন না।
৭) ভ্রমণ শুরুর আগে খেয়ে নিতে পারেন একটি বমির ওষুধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy