যে কোনও বয়সেই হতে পারে অর্শের সমস্যা। তবে পরিবারের কারও অর্শ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি খানিকটা হলেও বেড়ে যায়। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তাঁদের এই ঝুঁকি আরও বেশি। রোগ বেড়ে গেলে অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু আগেভাগেই সতর্ক হয়ে জীবনযাপনে বদল আনলে প্রতিরোধ করা যায় রোগটি। অর্শ, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে সহায়ক হতে পারে যোগাসন। গোরক্ষাসন এমন একটি আসন যা অর্শের যন্ত্রণা দিতে মুক্তি দিতে পারে।
সংস্কৃত ‘গো’ শব্দের অর্থ গরু। ‘রক্ষক’ অর্থাৎ গরুর রক্ষাকর্তা। গোরক্ষাসনকে বলা হয় ‘রাখালির ভঙ্গি’। গোরক্ষাসন করা খুব কঠিন নয়। কী ভাবে করবেন সেই পদ্ধতি শিখে নিন।
ধাপে ধাপে শিখে নিন গোরক্ষাসন
১) প্রথমে ম্যাটের উপর বসুন। দু’টি পা সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
২) দু’টি পা ভাঁজ করে কোলের কাছে টেনে নিয়ে আসুন। দু’টি গোড়ালি যতটা সম্ভব ভিতরের দিকে টেনে আনিন। পায়ের পাতা থাকবে প্রণামের ভঙ্গিতে।
আরও পড়ুন:
৩) এ বার ধীরে ধীরে পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে গোটা শরীরটা মাটি থেকে তুলে নিন। ধীরে ধীরে গোড়ালির উপর রাখুন।
৪) চাইলে নিতম্ব গোড়ালি স্পর্শ করে থাকতে পারে। দুই হাত থাকবে দু’টি হাঁটুর উপর। এই অবস্থানে থাকুন ৩০ সেকেন্ড। ব্যালান্স ধরে রাখতে পারলে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত থাকা যায়। একান্ত অসুবিধা হলে হাঁটু দু’টি মাটি স্পর্শ করে রাখা যেতে পারে।
কেন করবেন?
· গোরক্ষাসন অভ্যাস করলে ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা বশে থাকে।
· কোমর, নিতম্ব, ঊরু, পা, হাঁটুর নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়।
· জরায়ু এবং মূত্রথলির পেশি মজবুত হয়।
· দেহের নিম্নাংশে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়।
· গ্যাস, অম্বল এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
· কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শের সমস্যা দূর হয়।
সতর্কতা:
মেরুদণ্ডে চোট, গেঁটে বাত, কোমরে ব্যথা-বেদনা কিংবা সায়াটিকার সমস্যা থাকলে গোরক্ষাসন করতে যাবেন না। গোড়ালিতে কোনও ভাবে আঘাত লেগে থাকলেও সমস্যা হতে পারে। যাঁদের প্রস্টেটের সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও এই আসন করার আগে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নেবেন। অন্তঃসত্ত্বারা এই আসন অভ্যাস করবেন না।