‘প্ল্যাঙ্ক’-এর নাম শুনলেই ভয় পান অনেকে। একটু কঠিন ব্যায়াম। হাত, পায়ের ডগার আঙুল ও কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে গোটা শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে হয়। সেটা করতে গিয়েই সমস্যা হয়। কারণ পুরো শরীরের ভার শুধু হাত এবং পায়ের কয়েকটি আঙুলের উপর ধরে রাখা খুব একটা সহজ নয়। কিন্তু এটি হল উল্টো মুখে প্লাঙ্ক। যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন ‘আপওয়ার্ড প্লাঙ্ক’। এ ক্ষেত্রে মাথা থাকবে উপরের দিকে। আসলে এটি যোগাসনের একটি বিশেষ পদ্ধতি যার নাম পূর্বত্তোনাসন। নিয়মিত অভ্যাসে মেদ ঝরবে, পেশির শক্তির বাড়বে।
কী ভাবে করবেন?
১) প্রথমে পা দুটি সামনের দিকে ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। মেরুদণ্ড সোজা থাকেব।
২) হাত দুটি আপনার নিতম্বের সামান্য পিছনে মেঝেতে রাখুন।
৩) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে হাতের তালু এবং পায়ের গোড়ালিতে চাপ দিয়ে শরীরকে উপরের দিকে তুলুন।
৪) কোমর থেকে নিতম্ব যতটা সম্ভব উপরে তুলুন, যত ক্ষণ না কাঁধ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত আপনার শরীর একটি সরলরেখা তৈরি করে।
৫) বুক উপরের দিকে প্রসারিত হবে এবং মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে দিন।
৬) এই ভঙ্গিতে ৩০ সেকেন্ড থাকার চেষ্টা করুন। আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
আরও পড়ুন:
কেন করবেন?
এই আসন কব্জি, বাহু, কাঁধের পেশিকে শক্তিশালী করে তোলে।
মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়ায়।
মানসিক চাপ কমাতে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
মেদ কমায়, পেটের যে কোনও সমস্যা দূর করে।
পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে।
কারা করবেন না?
ঘাড়ে ব্যথা বা স্পন্ডিলাইটিস থাকলে আসনটি করা যাবে না।
ভার্টিগোর সমস্যা থাকলে আসনটি না করাই ভাল।
হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে আসনটি করবেন না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আসনটি করবেন না।