কলকাতা ভুগছে মেসি-জ্বরে! আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে সেই কবেই ভারতের মানুষ ভালবাসা, শ্রদ্ধায় আপন করে নিয়েছেন। ১৪ বছর পর তাই কলকাতায় ফুটবলারের পা পড়তেই বাড়তি উন্মাদনা কাজ করছে ভক্তমহলে।
গোটা দুনিয়ার কাছে মেসি তারকা। তাঁর পায়ের জাদুতে মুগ্ধ বিশ্ব। কিন্তু ব্যক্তি মেসি কেমন? কেমন তাঁর দিনলিপি? ‘গোট ট্যুর অফ ইন্ডিয়া’ সফরে এখন ভারতের নানা প্রান্তে ঘুরছেন ফুটবলের রাজপুত্র। তবে বিভিন্ন দেশ ঘুরলেও, খাবার হিসাবে আর্জেন্টিনার ঐতিহ্যবাহী পদই ভালবাসেন তিনি।
আরও পড়ুন:
অতীতে লিয়োনেল মেসি জানিয়েছিলেন তাঁর প্রাতরাশের কথা। দিনভরের রুটিন যেমনই হোক না কেন, সকালে খাওয়ার টেবিলে সপরিবার খেতে বসেন তাঁরা। প্রাতরাশের পরিকল্পনা হয়ে যায় আগের রাতেই। মেসি বলেছিলেন, ‘‘আমি আগের দিনই প্রাতরাশের জন্য টেবিল প্রস্তুত করে রাখি। তিন ছেলে এবং স্ত্রী আন্তোনেলা— প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট বসার জায়গা থাকে টেবিলে।’’
৩৮ বছরের ফুটবলারের ফিটনেস চমকপ্রদ। কী খান তিনি? এমন প্রশ্নের উত্তরে জানা যায়, মিষ্টিজাতীয় পদ ভীষণ পছন্দের তাঁর। লোভে পড়ে খেয়েও ফেলেন। তবে কড়া ডায়েট নয়, নিজের দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারই খেতে পছন্দ করেন মেসি। তাঁর প্রাতরাশের তালিকায় থাকে আসাদো। এটি আর্জেন্টিনার ঐতিহ্যবাহী খাবার। বিভিন্ন রকম মাংস মশলা দিয়ে সেঁকে বা পুড়িয়ে তৈরি হয়। মিলানিজ় বিভিন্ন পদ,পাস্তা, চকোলেট, ডালচে দে লিচে (মিষ্টি খাবার) খুব প্রিয় ফুটবলারের।
মেসি নিজেই জানিয়েছেন, ‘‘মিষ্টি আমার খুব পছন্দের। মিষ্টি আমি নানা সময়েই খাই, তবে অল্পই।’’ মেট নামে দক্ষিণ আফ্রিকার এক প্রকার চা খুব ভালবাসেন। তবে মিষ্টির বদলে তেতো চা-ই খান তিনি।
আরও এক অভ্যাস আছে ফুটবল তারকার। বাড়ি ঢুকলেই জুতোর সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না। খালি পায়ে হাঁটাচলাতেই ক্লান্তি দূর হয় তাঁর। শুধু বাড়ি নয়, অন্য কারও গৃহে অতিথি হয়ে গেলেও একই অভ্যাস বজায় রাখেন তিনি।
কলকাতা থেকে দুপুরেই হায়দরাবাদ রওনা দেবেন মেসি। সেখানে সন্ধ্যা ৭টার সময় ‘গোট কাপ’ নামের একটি ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন তিনি।