এক কালে শীত মানেই দুপুর বেলায় রোদে পিঠ দিয়ে হাতে কমলালেবু নিয়ে আয়েশ করার সময় ছিল বাঁধা। ব্যস্ত সময়ে তেমন অবসর না হলেও শীতে কমলালেবু খাওয়ার ইচ্ছে বা আগ্রহ কোনওটিই কমেনি।
শীতের টাটকা সতেজ কমলালেবু। তার যেমন ঘ্রাণ, তেমনি স্বাদ। যাঁরা কমলালেবু খেতে ভালবাসেন, তাঁরা তো বটেই, যাঁরা কমলালেবুর ভক্ত নন, তাঁরাও এই শীতে একটি করে কমলালেবু খান। হয় টিফিনে নয়তো বাড়িতে মধ্যাহ্ণভোজের পরে কমলালেবু খাওয়া হয়। আর এই অভ্যাসের উপকারিতাও নেহাত কম নয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে ঠান্ডা লাগা ফ্লু, জ্বর ভাব, অ্যালার্জি এবং অন্যান্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে শরীর। যা শীতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য
ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনের জন্য জরুরি। কোলাজেন ত্বককে নমনীয়, দৃঢ় এবং তারুণ্যে ভরপুর রাখতে সাহায্য করে। আর কমলা লেবুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যালসের হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে ত্বকে অকালে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
কমলালেবুতে রয়েছে পটাশিয়াম। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত কমলালেবু খেলে সেই ঝুঁকি কমতে পারে। এ ছাড়া এতে থাকা ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
অন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে
কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার থাকে। যা হজম প্রক্রিয়াকে ভাল রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। কমলালেবু ফলের রস শরীরকে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে যা পরোক্ষে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়ক।
চোখের স্বাস্থ্য
অল্প হলেও কমলালেবুতে থাকে। ভিটামিন এ। যা চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য জরুরি।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
কমলালেবুতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি, তাই এটি খাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেট ভরে থাকে। অতিরিক্ত খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ডায়াবিটিসে
যেহেতু কমলালেবুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অত্যন্ত কম, তাই এটি ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য অত্যন্ত ভাল।
কিডনি স্টোন প্রতিরোধে
কমলালেবুতে থাকা পটাশিয়াম কিডনিতে ক্যালশিয়াম অক্সালেট তৈরিতে বাধা দেয়। ইউরিক অ্যাসিড থেকে স্টোন তৈরি হতে দেয় না।
ক্যানসারপ্রতিরোধক গুণ
কমলালেবুতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড নামের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। বিশেষ ধরনের কিছু ফ্ল্যাভোনয়েডের কয়েকটি ক্যানসার বিরোধী গুণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে কিছু গবেষণায়।