ওট্স খাওয়া কি ভাল? ছবি: সংগৃহীত।
না চাইলেও প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়। তাড়াহুড়ো করে নানা রকম ‘ব্রেকফাস্ট’ সাজিয়ে, বসে খাওয়ার সময় থাকে না। সহজপাচ্য এমন কোনও খাবার খেলে সময় যেমন বাঁচে, শরীরও ভাল থাকে। তাই বন্ধুবান্ধবের কথা শুনে ওট্স খাওয়া শুরু করেছিলেন। ওট্সে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এ ছাড়া, ওট্সের মধ্যে রয়েছে জ়িঙ্ক, ফোলেট এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ। যা শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা করার জন্য অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ওট্স। সকাল সকাল পেট পরিষ্কার নিয়েও বিশেষ চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে এক ভাবে এই খাবার খেয়ে গেলে শরীরে তার প্রভাব কেমন, তা জানেন কি?
নেটপ্রভাবী এবং পুষ্টিবিদ দীপালি শর্মা বলছেন, কম ক্যালোরির খাবার হিসেবে ওট্স বেশ জনপ্রিয়। তা ছাড়া, এই খাবার সহজপাচ্য বটে। তাই শিশু থেকে বয়স্ক— সকলকেই এই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে, অনেকেই হয়তো জানেন না, ওট্স রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তা ছাড়া, ওট্সে যে ধরনের কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, তা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য ভাল। আবার, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কিংবা ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণেও ওট্সের হাত রয়েছে। কার্ডিয়োভাসকুলার কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা এড়াতে চাইলে নিয়ম করে ওট্স খাওয়াই যায়। এ ছাড়া, অন্ত্রের মধ্যে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে ওট্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy