হাতের চটচটে ঘাম আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতীকী ছবি।
গরমে হাত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা নতুন নয়। এই সমস্যা যাঁদের রয়েছে, এসিতে থাকলেও রেহাই পান না তাঁরা। হাতের চটচটে ঘাম আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে। কেউ হাত মেলাতে এলেও নিজেরই কেমন একটা মনে হয়। ঘামের পরিমাণ সকলের একই রকম হবে, তা নয়। কিন্তু বেশি হাত ঘামাও ভাল না। যাঁদের এই সমস্যা আছে, একটু সতর্ক হওয়া জরুরি। নিরন্তর হাত ঘামতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক কী কী কারণে অত্যধিক হাত ঘামতে পারে?
১) ডায়াবিটিসের সমস্যায় এমনটা হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে হাতের তালু ঘামে। তাই দীর্ঘ দিন ধরে হাতের তালু ঘেমে যাওয়ার সমস্যা চলতে থাকলে এক বার রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি।
২) থাইরয়েডের সমস্যাতেও হাতের তালু ঘামতে পারে। তাই থাইরয়েড বাসা বাঁধল কি না, সে দিকে খানিক নজর দেওয়া জরুরি।
৩) হাতুর তালু ঘামা হৃদ্রোগেরও লক্ষণ। সারা বছর হাতের তালু ঘামে না। কিন্তু কয়েক দিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে। কারণ হৃদ্রোগের কারণেও হাতের তালু ঘামে।
৪) তালুতে নানা ধরনের ব্যাকটিরিয়া ঘটিত সংক্রমণ হয়। সেটিও ঘামের কারণ হতে পারে। তাই বাইরে থেকে ফিরে ভাল করে হাত ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়াও সঙ্গে সুতির পাতলা কাপড় রাখুন। হাত ঘামলেই মুছে নিন।
তবে কারণ যা-ই হোক, হাতের তালু ঘামলে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাবেন।
তালু ঘাম কমানোর সহজ রাস্তা হতে পারে বেকিং সোডা। সামান্য বেকিং সোডার সঙ্গে জল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। সেই মিশ্রণ হাতে মাখিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়াও বিকল্প একটি ভরসা হতে পারে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হাতের তালুতে একটু অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মাখিয়ে নিন। সকালে উঠে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে তালুর ঘাম কমবে। রোজ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেতেও পারেন। তাতেও উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy