নির্দিষ্ট কোনও জিনিসে অ্যালার্জি থাকলে সেখান থেকেও অনর্গল হাঁচির সমস্যা হতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
ফ্যান চললেও এই তীব্র গরমে সারা রাত গরমে ঘেমেছেন। ঠান্ডা লাগার কোনও লক্ষণই নেই। তবু ঘুম থেকে উঠতেই হঠাৎ একের পর এক হাঁচি। আবার অনেকেই এখন গরমের হাত থেকে বাঁচতে সারা রাত এসি চালিয়ে ঘুমোন। সকালে ঘর থেকে বেরোতেই হাঁচি শুরু। এ দিকে ঠান্ডা তো লাগেনি। তা হলে সমস্যাটা কোথায়?
কান-নাক-গলার চিকিৎসকদের মতে, হাঁচি অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। নাকের মধ্যে অস্বস্তিকর কোনও কিছু ঢুকে গিয়ে থাকলে হাঁচির মাধ্যমে স্বাভাবিক ভাবেই তা বাইরে বেরিয়ে আসে। ঘুমের মধ্যে কোনও কারণে ধুলো বা ময়লার সূক্ষ্ম কণা, চাদর বা বালিশের খোলের রোঁয়া যদি নাকের মধ্যে ঢুকে যায়, স্বাভাবিক ভাবেই হাঁচি চলে আসে। নির্দিষ্ট কোনও জিনিসে অ্যালার্জি থাকলেও সেখান থেকে এমন সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসার পরিভাষায় যার নাম ‘অ্যালার্জিক রাইনিটিস’। এ ছাড়াও আবহাওয়ার পরিবর্তন খুব বড় একটি কারণ। ঘরের মধ্যেকার ঠান্ডা থেকে হঠাৎ করে বাইরে বেরিয়ে পড়লে সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না শরীর। আবার শীতকালে উল্টোটাও হতে পারে। যেমন গরম লেপের মধ্যে থেকে হঠাৎ করে যদি বাইরে বেরোন, সে ক্ষেত্রেও এমন সমস্যা হতে পারে। তাই ঘর থেকে বেরোনোর অন্তত আধ ঘণ্টা আগে এসি বন্ধ করে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় আসার চেষ্টা করতে পারলে ভাল। শুধু ঘরেই নয়। সারা দিন অফিসে এসিতে বসে কাজ করার পর, যখন বাইরে যাবেন তখনও এই পদ্ধতিতে শরীরকে দু’টি ভিন্ন আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করাতে হবে।
এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন?
চিকিৎসকদের মতে, সারা রাত এসি চালিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাইরে চলে গেলে অনেক সময়েই একের পর এক হাঁচি হতে থাকে। এই সময় শরীরকে ঘরের ভিতরের এবং বাইরের তাপমাত্রার তারতম্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া জরুরি। আবার, বাইরে চড়া রোদ থেকে এসে হুট করে ঠান্ডা ঘরে কিন্তু ঢোকা যাবে না। এ ছাড়া যদি অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে বিছানার চাদর, বালিশের খোল দু’দিন অন্তর বদলে ফেলতে পারলে ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy