Advertisement
০২ মে ২০২৪
Dry Cough

লোকে বলছে ‘১০০ দিনের কাশি’! জ্বর কমলেও কেন যাচ্ছে না শুকনো কাশি, গলা খুসখুসের সমস্যা?

কোভিডের পর থেকে জ্বরের নাম শুনলেই আতঙ্ক। এ দিকে, এখন আবার জ্বর থেকে মুক্তি পেলেও ওষুধ, গার্গল কোনও কিছুতেই শুকনো কাশি সারতে চাইছে না।

Symbolic image of cough and cold

আবহাওয়ার পরিবর্তনে ঠান্ডা লাগা, জ্বর-সর্দি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ছবি- শৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩ ১৪:৩৮
Share: Save:

এই শহরে তো বটেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় প্রতিটি ঘরে জ্বর, সর্দি, গলাব্যথার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তন এবং বাতাসে ভাইরাসের জোড়া ফলায় শ্বাসযন্ত্রের কোনও পুরনো রোগও আবার চাগাড় দিয়ে উঠছে। দেখা যাচ্ছে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও। নাম এবং চরিত্র বদলে ভাইরাসরাও আরও বিচিত্র রূপ ধারণ করছে। কারও ক্ষেত্রে আবার জ্বর, সর্দি না থাকলেও অনেক দিন ধরে কাশি, কাজে অনীহা, ক্লান্তি, শারীরিক দুর্বলতা, স্মৃতিভ্রম— এমন লক্ষণগুলি রয়েছে। কিন্তু অন্য বছরগুলির তুলনায় এ বছর ভাইরাসের এমন বাড়বাড়ন্ত হল কেন?

চিকিৎসকদের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে এমন ঠান্ডা লাগা, জ্বর-সর্দি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু অন্যান্য বারের চেয়ে এই বছর তা একটু অন্য রকম। সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এই ধরনের ফ্লু হওয়ার কথা নয়। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ‘এইচ৩এন২’ যে কোনও আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়েই হতে পারে। তার মেয়াদ বড়জোর ৩ থেকে ৫ দিন। কিন্তু এই সময়ে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ৭ দিনে। কারও ক্ষেত্রে জ্বর কমে গেলেও অন্য উপসর্গগুলি ভোগাচ্ছে বেশি দিন ধরে।

আসলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই ভাইরাসটি অনেক বেশি সংক্রামক। ফলে এক জনের থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগছে না। শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই ফুসফুস এবং শ্বাসনালির উপরিভাগে তার জাল বিস্তার করে। ফলে যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল না, তাঁদেরও এমন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যাঁদের অ্যাজ়মা বা হাঁপানির সমস্যা আছে, তাঁদের সঙ্কট আরও বেশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Influenza cough and cold Cough Syrup
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE