তাই মুগ কিংবা মুসুর পাতে যে ডালই রাখুন না কেন, আপনার শরীর-স্বাস্থ্যের উন্নতি হবেই। ছবি: শাটারস্টক
রোজকার পাতে যতই মাছ, মাংস থাকুক না কেন ডালের একটি পদ কিন্তু চাই-ই-চাই। চটজলদি বানানোও যায়, আর ভাত কিংবা কিংবা রুটি উভয়ের সঙ্গেই ভাল যায়। ফোলেট, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানও রয়েছে এতে। তাই মুগ কিংবা মুসুর পাতে যে ডালই রাখুন না কেন, আপনার শরীর-স্বাস্থ্যের উন্নতি হবেই।
মা-ঠাকুরমারা ডাল রান্না করার আগে যে কোনও ডালই ভিজিয়ে রাখতেন। তবে ইদানীং অনেকেই তাড়াতাড়িতে রান্না সারার জন্য ডাল না ভিজিয়ে সরাসরি রান্না করে ফেলেন। ডাল ভিজিয়ে রাখা হয় কেন, কখনও কি ভেবে দেখেছেন? অবশ্যই আগে থেকে ভিজিয়ে রাখলে অনেক তাড়াতাড়ি ডাল সেদ্ধ হয়ে যায়। তবে আর কী কারণে ডাল ভিজিয়ে রাখবেন?
ছোলার ডাল, মটর ডাল কিংবা বিউলির ডাল বেশ ভারী খাবার। হজম করা সহজ নয়। রান্নার আগে এই সব ডাল ভিজিয়ে রাখলে অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টের মাত্রা কমে। এ ছাড়াও, ডালের উপরের অংশে থাকে ফাইটিক অ্যাসিড। যা পেটে গেলে বদহজম হতে পারে। ডাল কিছু ক্ষণ জলে ভেজানো থাকলে সেই অ্যাসিড ধুইয়ে যায়। ডালে থাকে পলিফেনল এবং ট্যানিন। জলে ভেজানো থাকলে তা-ও অনেকটা ডাল থেকে চলে যায়। এর ফলে ডালে উপস্থিত বাকি সব উপাদান, যেমন ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, আয়রন— সব ভাল ভাবে প্রবেশ করে শরীরে।
কোন ডাল কত ক্ষণ ভেজাবেন?
মুগ ডাল, মুসুর ডাল, অড়হড় ডাল কম করে দু’থেকে আট ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা উচিত। রাজমা বা ছোলা জাতীয় ডাল ভিজিয়ে রাখুন ১২-১৮ ঘণ্টা। তবে এতটা সময় না দিতে পারলে অন্তত আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে রান্না করুন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy