Advertisement
০২ মে ২০২৪
Health Benefits of Raisin Yogurt

দই পাতার সময়ে মিশিয়ে দিন সামান্য কিশমিশ, রোজের ডায়েটে রাখলেই জব্দ হবে রোগব্যাধি

গরমের দিনে পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। দই আর কিশমিশের মিশ্রণেই প্রিবায়োটিক ও প্রোবায়োটিক দু’টিই পাওয়া যায়, যা হজমের কাজে সাহায্য করে এবং পেটে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়। আর কী কী গুণ রয়েছে এই মিশ্রণের?

খালি দইয়ের বদলে দই-কিশমিশ খাবেন কেন?

খালি দইয়ের বদলে দই-কিশমিশ খাবেন কেন? ছবি: শাটারস্টক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৩ ১৬:২২
Share: Save:

শরীর চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত ডায়েটে দই রাখার কথা বলেন পুষ্টিবিদেরা। প্রোবায়োটিক হিসাবে দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। জানেন কি দই পাতার সময়ে কয়েকটি কিশমিশ মিশিয়ে দিলে উপকারিতা বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ? কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার। গরমের দিনে পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। দই আর কিশমিশের মিশ্রণেই প্রিবায়োটিক ও প্রোবায়োটিক দুটোই ভাল মাত্রায় পাওয়া যায়, যা হজমের কাজে সাহায্য করে এবং পেটে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়। অনেকেই আছেন, যাঁরা সারা বছর পেটের সমস্যায় ভোগেন। কিশমিশ মেশানো দই শরীর থেকে খারাপ ব্যাক্টেরিয়া দূর করে আর হজমে সাহায্যকারী ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে। ফলে পেট ভাল থাকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই দই রাখলে বদহজম এবং অম্বলের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও এটি খাওয়া যেতে পারে।

তবে শুধু পেটের খেয়াল রাখাই নয়, দই-কিশমিশের রয়েছে আরও অনেক গুণ। জেনে নিন রোজ দই-কিশমিশ খেলে কী কী লাভ হবে।

১) যাঁরা পাইরিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা কিন্তু রোজ নিয়ম করে দই-কিশমিশ খেতে পারেন। এই মিশ্রণ ক্যালশিয়ামে ভরপুর যা দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

২) একটু বয়স বাড়লেই গাঁটের ব্যথায় নাজেহাল হতে হয় অনেককেই। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় দই-কিশমিশ রাখতে পারেন। বাতের ব্যথায় উপশম পাবেন।

৩) এই মিশ্রণ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৪) দুপুরের দিকে হালকা খিদে পেলে এই দইয়ের মিশ্রণ খেতে পারেন। অনেক ক্ষণ পেট ভরে থাকে। হজম ভাল হয়, তাই ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

৫) ঋতুস্রাবের সময়ে অনেকেই পেটের ব্যথায় কষ্ট পান। এই সমস্যায় উপশম পেতে পারেন দই-কিশমিশের মিশ্রণ খেলে।

কী ভাবে বানাবেন দই-কিশমিশ?

প্রথমে একটি বাটিতে গরম দুধ নিন। এ বার তার মধ্যে দিয়ে দিন চার থেকে পাঁচটি কিশমিশ। এর পর সামান্য দই ওই দুধ-কিশমিশের মিশ্রণে দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। লক্ষ রাখবেন যেন পাত্রের সারা গায়ে দইয়ের মিশ্রণ ভাল করে লেগে যায়। তার পর ঈষদুষ্ণ দুধ দিয়ে হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে পাত্রটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। আট থেকে ১২ ঘণ্টা লাগবে দই জমতে। এই সময়ে একেবারেই বাটি নড়াচড়া করা চলবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Stomach Infection
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE