চুণী হচ্ছে সেই রত্ন, যার প্রভাবে আপনার সাইকিক চেতনার রং পরিবর্তিত হয়। আমাদের সূক্ষ্ম শরীরে যে সপ্তচক্র আছে, তার প্রথম চক্র যা গুহ্যদ্বারের কাছে অবস্থিত, যার “মূলাধার”, দীর্ঘকাল ঠিকমত চুণী ধারণ করতে পারলে আপনার কুণ্ডলিনী শক্তি জাগরিত হয়।
মূলাধার নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের অর্থ উপার্জনকে, আমদের যৌন ক্ষমতাকে, সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতাকে এবং জাগতিক যত রকমের ভোগ-সুখ আছে তাকে।
এ বার প্রথমেই আমরা জানব চুণীর উপাদান কী। চুণীর একটি রাসায়নিক যৌগ যার নাম অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড। এই অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড ‘করান্ডাম’ শ্রেণির। যদিও এই একই উপাদান এবং এই করান্ডাম শ্রেণির অন্তর্গত নীলাও। তবে সামান্য মাত্রায় কিছু ইম্পিউরিটিস বা দূষণ থাকার জন্য চুণী আর নীলার মধ্যে রঙের প্রার্থক্যের সৃষ্টি হয়। যেমন, চুণীতে থাকে ইম্পিউরিটিস হিসেবে ‘ক্রোমিয়াম’ আর যার ফলে চুণী লাল রঙ ধারণ করে।
চুণীর এই রঙের কারণে এর “স্পেকট্রাম কালার”-এর পরিবর্তন হয়। যেমন মুক্ত বাইরে থেকে দেখতে সাদা বা হাল্কা সাদাটে হলুদ, কিন্তু এর স্পেকট্রাম কালার “কমলা”। নীলা বাইরে থেকে দেখতে হাল্কা নীল, কিন্তু স্পেকট্রাম কালার বেগুনী। যদিও চুণীর বাইরের বর্ণ ও স্পেকট্রাম কালার একই— লাল।
তবে চুণী নানা বর্ণের। যেমন, গাঢ় লাল, গোলাপী, ডালিমের দানার মতো রঙ ও পায়রার রক্তের বর্ণের মতো, যাকে ‘পিজিয়ান ব্লাড’ বলে। ক্রোমিয়াম-সহ নানা ‘ইম্পিউরিটিস’ থাকার কারণে নানা বর্ণ ধারণ করে। যদি এই ইম্পিউরিটিস না থাকত, এই কোরান্ডামটা হত জলের মতো রঙের।
অবিশুদ্ধ চুণীকে দু’ভাবে ট্রিটমেন্ট করা হয় বিক্রির জন্য।
(১) হিট ট্রিটমেন্ট এবং
(২) ফ্র্যকচার ফিলিঙ
চুণী হচ্ছে ক্রিস্টাল, তাই চুণীর ভিতর থাকে অসংখ্য চিড় থাকে। সেই সব চিড়গুলোকে লিড গ্লাস এবং ফ্লাক্স দ্বারা পূর্ণ করা হয়। এর পর কাটিং ও পালিশের মাধ্যমে চুণীর উজ্জ্বলতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাইজের চুণীর নাম “১২৫ ওয়েস্ট রুবি”। এর ওজন ৮.২ পাউণ্ড বা ১৮৯৬ ক্যারেট।
বাজারে বার্মিজ, সিংহলী, ব্যাঙ্কক, তাইল্যান্ড, পাকিস্থানি চুণী পাওয়া যায়। তার মধ্যে বার্মিজ চুণী সর্বশেষ্ঠ। হিরের পরেই রত্নের মধ্যে চুণীর মূল্য বেশী। কাঠিন্যের দিক থেকে হীরের পরই চুনির স্থান চুণীর হার্ডনেস -৯।
চুণী কখন পরতে হয়ঃ (পরের সংখ্যায় বাকি অংশ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy