—প্রতীকী চিত্র।
আমরা সবাই জানি, জ্যোতিষ শাস্ত্র বিচার করা হয় ১২টি রাশি, ৯টি গ্রহ, ও ২৭টি নক্ষত্রের উপর। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ঘটনা বিচার করা হয় এর উপর ভিত্তি করেই। প্রথমেই বলব, এই ১২টি রাশির মধ্যে লগ্ন থেকে চতুর্থ রাশি অর্থাৎ চতুর্থ ভাব সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
জাতক বা জাতিকার জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে চতুর্থভাবের মূল্য অপরিসীম। শিশু যখন জন্মায়, তখন তার সব থেকে বেশি প্রয়োজন হয় তার মাকে। তার মা কেমন হবে, কতটা যত্ন সহকারে তার লালন পালন করবে তা সবই বিচার হয় এই চতুর্থ ভাব থেকে। শিশুটির তার পরের অধ্যায় হচ্ছে লেখাপড়া যা মুলত বিচার করা হয় এই ভাব থেকে। বাবা মায়ের কাছে সব থেকে চিন্তার বিষয় তাঁদের সন্তানের উপযুক্ত শিক্ষা নিয়ে। যত দিন যাচ্ছে পৃথিবী তত উন্নত হচ্ছে, জনসংখ্যাও বাড়ছে আর সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রবল প্রতিযোগিতা। সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য কিছু চিন্তা করতে হলে সেটা স্কুলজীবন থেকে করা উচিত (সন্তান বড় হয়ে কী হতে চায় সেই আলোচনা)। প্রথম থেকেই বাবা মাকে সন্তানের খেয়াল রাখতে হবে সে কোন বিষয়ে ভাল। ধরুন, দেখে নিতে হবে সে অঙ্কে কত নম্বর পায়। যদি অঙ্কে ভাল না হয় তা হলে ইঞ্জিনিয়ারিং পরার সুযোগ পাবে না। জন্মছকে বুধ ও মঙ্গল যদি খারাপ থাকে তা হলে ছাত্র-ছাত্রী অঙ্কে ভাল হতে পারে না।
এখানে আলোচ্য বিদ্যাভাব। বিদ্যাভাব যদি খুব ভাল না হয়, তা হলে উচ্চশিক্ষা কখনওই সম্ভব নয়। চতুর্থ ভাবকে বিদ্যাভাব বলা হয়। চতুর্থপতি যদি বলবান হয়ে কেন্দ্রে অবস্থান করে, শুভ গ্রহ যুক্ত বা দৃষ্ট হয় এবং চতুর্থ ভাবে যদি শুভ গ্রহের স্থিতি বা দৃষ্টি থাকে তা হলে বিদ্যাস্থান শুভ বলা যায়। আর যদি গ্রহের স্থান উল্টো হয় বিদ্যাভাবের হানি হয়। এর পরেও দ্বাদশ ও অষ্টম পতির বিচার। বিদ্যাকারক গ্রহ বুধ ও জ্ঞানের কারক বৃহস্পতির বিচার নিপুণ ভাবে করতে হবে। শনি ও চন্দ্রকে উপেক্ষা করা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy