সৌন্দর্য পিপাসু নরনারীগণ হীরা, মুক্তা, চুনী, পান্না প্রভৃতি রত্নগুলিকে অলঙ্কার রূপে রত্নের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ উপেক্ষা করেই ধারণ করে থাকেন। আবার জ্যোতিষে বিশ্বাসী লোকেরা সূর্যাদি গ্রহদোষের উপশম অর্থাৎ সকল প্রকার দুঃখ থেকে নিবৃত্তি তথা সৌভাগ্য বৃদ্ধির জন্য রত্নাদি ধারণে ব্রতী হন।
এখন দেখে নেওয়া যাক আসল বা কৃত্রিম মণির মধ্যে পার্থক্য-
১। অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে রত্নের আণবিক আকার পরীক্ষা করে আসল ও কৃত্রিম মণির মধ্যে পার্থক্য বের করা যায়।
২। রত্নের কয়েকটি ধর্ম বা গুণ, যেমন কাঠিন্য, আপেক্ষিক গুরুত্ব, পরাবর্তন অনুপাত ইত্যাদির মাধ্যমে আসল বা নকল রত্নের ভেদাভেদ বের করা যায়।
৩। রত্নটি স্বচ্ছ এবং উজ্জ্বল হতে হবে এবং রত্নের ভিতরের অংশ কোনওরূপ রক্তকণা, ফাটল, দাগবিহীন হতে হবে। আসল মণির অঙ্গে কোন দাগ থাকলে সেটি থাকবে সরলরেখায় কিন্তু নকল রত্নের দাগ থাকে বক্ররেখায়।
৪। নকল রত্নের গর্ভে সুগোল শর্করাদোষ(এয়ার বাবল) থাকবে। কিন্ত আসল রত্নে এই দোষ সাধারণত থাকে না। থাকলেও সেগুলির আকার গোল না হয়ে কোণবিশিষ্ট হবে।
৫। আসল মণিগর্ভস্থ বর্ণের ঘনত্ব সব জায়গায় সমান ঘন হয় না কিন্তু নকল গর্ভস্থবর্ণ সর্বত্র সমান হয়।
৬। মিথিয়ন আয়োডাইড জলে গুলে তার মধ্যে রত্ন দিলে আসল রত্নটি জলে ডুবে যাবে কিন্তু নকল রত্নটি ভেসে উঠবে।
আরও পড়ুন: আপনার হাতে কি জাল চিহ্ন আছে? এর ফলে কী হয় জানেন?
৭। প্রকৃত এবং কৃত্রিম রত্নের পার্থক্য বিশ্লেষণ ভারতে একমাত্র কলকাতা স্থিত জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার জেম টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে করা হয়। অবশ্য একজন সৎ এবং অভিজ্ঞ জহুরী একনজরে বলে দিতে পারেন রত্নটি আসল না নকল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy