কি ভাবে জ্যোতিষের সাহায্য ছাড়াই আমরা রত্ন ধারণ করব, তার কয়েকটি সাধারণ নিয়ম জেনে নিন। রত্ন মানে চূনী, পান্না, হীরে, প্রবাল বা পলা, নীলা, গোমেদ ইত্যাদি।
চূণী :-
চূণী হল সফলতার রত্ন। ভাল উচ্চপদ, প্রতিষ্ঠা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ভাল রেজাল্ট চাইতে গেলে চূনী ধারণ করতে হবে। খুব ওজন বেড়ে যাছে, দৈহিক সহবাসে অক্ষমতা, বিকৃত কাম চিন্তা, সব সময় হাত-পা ঠান্ডা থাকে এসব ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে চূনী পড়া যায়।
মুক্ত :-
মুক্ত মনের শক্তি বাড়ায়। যারা মানসিক অবসাদে ভোগেন, প্রায় রক্ত সংক্রান্ত কোনও না কোনও রোগে ভোগে, যে সব মায়েদের বুকের দুধ কম, যাদের বক্ষ-পিঞ্জর পায়রার মত, শ্বাস-কষ্ট রোগে ভোগে, রজঃরধে ভোগে, রক্তাল্পতা রোগে ভোগে, চোখ তুলে কথা বলতে পারে না এরা সব সময় মুক্ত ধারণ করতে পারেন।
নীলা :-
নীলা বলতে বুঝি ইন্দ্রনীলা, রক্তমুখি নীলা, অর্থাৎ নীলার বাইরের দিকের রঙ যাই হোক না কেন, নীলা থেকে বেগুনী আলো বিচ্ছুরণ করে। বেগুনী আলো শীতল। তাই যারা সহজে রেগে যায়, রাত্রে ঘুম হয় না, খুব সহজে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এমন ব্যক্তি, সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোন জাতের নীলা পড়তে পারেন। যাদের প্রায়শঃ অ্যাক্সিডেন্টে পরেন, রক্তপাতের যোগ রয়েছে, উগ্র মেজাজ তারা সহজেই নীলা পড়তে পারেন।
পান্না :-
পান্না নার্ভ বা স্নায়ুকে প্রশমিত রাখে। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, কোনও চিন্তা-ভাবণা না করেই নির্দ্ধিধায় পান্না পড়তে পারেন। স্বামি-স্ত্রীর মধ্যে মোটেই বনিবনা হচ্ছে না, প্রায় কথা কাটাকাটি লেগেই রয়েছ। এমন অবস্থায় পান্নার চেয়ে ভাল মিলনকারী বন্ধু আর কিছু নেই।
গোমেদ :-
গোমেদ থেকে শীতলকারক রশ্মি বের হয়। যখন দেখবেন ছেলেমেয়েরা অবৈধ প্রেমে লিপ্ত, মদ, জুয়া সাট্টা, বিকৃতকামের শিকার হয়েছে তখন তাদের গোমেদ ধারণ করাবেন।
মুনস্টোন :-
মুনস্টোন থেকে আকাশী রঙের বিচ্ছুরন হয়। যারা ওজন বাঢতে চান মুনস্টোন ধারণ করতে পারেন।
(১৫ বছরের নীচে রত্ন ধারনের প্রয়োজন নেই, ১৫ থেকে৪০ বৎসর অবধি সব রত্নই ৫রতি
আর ৪০ এর উদ্ধের বয়স হলে ৬/৭ রতি ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy