বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ ও পুরাণে শনিদেবকে নিয়ে নানান কাহিনি প্রচলিত আছে। ছায়াপুত্র, যমের অগ্রজ এবং রবির পুত্র হিসেবে শনিদেব সকলের কাছে পরিচিত। মুল রাশিচক্রে দশম ও একাদশ ভাবের পতি হিসেবে শনি গ্রহকে জ্যোতিষে গ্রহণ করা হয়। রবির উচ্চস্থান সে কারণে শনির নীচস্থান এবং রবির নীচস্থান, শনির উচ্চস্থান।
শনি রাশিতে আড়াই বছর করে অবস্থান করে। সেক্ষেত্রে মোট সাড়ে সাত বছর দ্বাদশ, লগ্ন ও দ্বিতীয়ে শনির প্রভাব থাকে। একে সাড়ে সাতি বলে।
যে কোনও গ্রহ পরিক্রমণ কালে যে কোনও জাতকের লগ্ন থেকে দ্বাদশ ভাবে, একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে এবং নির্দিষ্ট বছর পর পর বিভিন্ন ভাবে আসে। দ্রুততম গ্রহ বুধ, এরপর শুক্র, তারপর রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি, রাহু বা কেতু এবং শেষে শনি। লগ্ন ও চন্দ্র রাশিতে, দ্বিতীয়ে, দ্বাদশে, সকল গ্রহই আসে তা সকলেই জানেন। তবে কেবল শনির ক্ষেত্রেই মানুষ একটু ভীত হয়। জন্ম সময় থেকে শুরু করে তিনবার শনি লগ্ন, দ্বাদশ ও দ্বিতীয়ে আসে। বাল্যকালে যৌবনে এবং বার্ধক্যে।
শনি তমোগুণী। তপস্যার দ্বারা লব্ধ জ্ঞান শনি দান করে। বুধ ও শুক্র, শুভ ভাবে শনির সঙ্গে যুক্ত হলে সুখ ও ধন লাভ হয়। শনি যা দান করে, তা ফিরিয়ে নেয় না। শুভ শনির কৃপায় জাতক-জাতিকা জীবনে যে স্তরে পৌঁছন, সেখান থেকে পতনের কোনও সম্ভাবনা থাকে না।
আরও পড়ুন: আপনার কি প্রেম করে বিবাহ হওয়া সম্ভব?
কর্ম ও আয়ের কারক গ্রহ শনি। শনি দুর্বল, পীড়িত, অশুভ হলে কর্মলাভ সম্ভব নয়। ফলে উপার্জন হ্রাস পায়। মানুষের জীবনে নানা বিপত্তির সৃষ্টি হয়। সৌরজগতে শনি পৃথিবী থেকে বহু দূরে আছে। তাই আমরা তার প্রভাব খুবই কম পাই। রাশিচক্রে শনি ত্রিশ বৎসরে একবার পরিক্রম করে। এক একটি রাশিতে প্রায় আড়াই বৎসর শনি থাকে। বক্রগতিকালে সেটা হ্রাস- বৃদ্ধি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy