Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রত্ন শোধনের বিশেষ নিয়ম

যে যে গ্রহের অশুভ ফল হবে, সেই সেই গ্রহের নির্দিষ্ট রত্ন সেই সেই রত্নের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি বিদ্বান ব্রাহ্মণকে দান করার পর নিজে ধারণ করে থাকেন তার প্রতি সেই সেই গ্রহই অনুকুল ফলদান করেন।

পার্থপ্রতিম আচার্য
শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

পারিজাত নামক গ্রন্থে রবির জন্য মাণিক্য, চন্দ্রের জন্য মুক্তা, মঙ্গলের জন প্রবাল, বুধের জন্য পান্না(মরকত), বৃহস্পতির জন্য পোখরাজ( পুস্পরাগ), শুক্রের জন্য হীরক, শনির জন্য নীলা, রাহুর জন্য গোমেদ ও কেতুর জন্য বৈদুর্য্যমণীর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পারিজাত গ্রন্থের মত অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কারণ গ্রহগুলোর বর্ণ বিশ্লেষণের সঙ্গে এই রত্ন প্রয়োগের যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অর্থাৎ যে যে গ্রহের অশুভ ফল হবে, সেই সেই গ্রহের নির্দিষ্ট রত্ন সেই সেই রত্নের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি বিদ্বান ব্রাহ্মণকে দান করার পর নিজে ধারণ করে থাকেন তার প্রতি সেই সেই গ্রহই অনুকুল ফলদান করেন।

এখন প্রশ্ন হল সঠিকভাবে রত্ন শোধন কী ভাবে করা যায়।

আয়ুর্বেদাচার্য বাগভট্ট রত্নের স্বভাবজ ও অস্বভাবজ দোষ বার করে অস্বভাবজ দোষগুলো নষ্ট করার জন্য বিশেষ বিশেষ দ্রব্যের মাধ্যমে রত্ন শোধনের উল্লেখ করেছেন----

১। চুনী বা মাণিক্য শোধন করা হয় অম্লদ্রব্য বা লেবুর রসে।

২। মুক্তা শোধন করা হয় জয়ন্তী পাতার রসে।

৩। প্রবাল শোধন করা হয় ক্ষার জলে।

৪। পান্না শোধিত হয় গরুর দুধে (খাঁটি কাঁচা দুধ)।

৫। পুস্পরাগ বা পোখরাজ শোধিত হয় কুলত্থকলাই সিদ্ধ জলে কাঁজি মিশিয়ে।

৬। হীরক শোধন করা হয় কাঁটা নটের রসে।

৭। নীলা শোধিত হয় নীলকন্ঠ ফুল গাছের রসে।

৮। গোমেদ শোধন করা হয় গোরোচনা(গোচনা নয়) মিশ্রিত জলে।

৯। ক্যাটস-আই শোধিত হয় ত্রিফলা থেঁতো করে ভিজিয়ে রেখে সেই জলে। ত্রিফলা হল হরিতকী, আমলকী ও বহেড়া।

সাধারণত তিন ঘণ্টা থেকে চব্বিশ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে ‘দোলাযন্ত্রে পাক’ করলে রত্ন শোধিত হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gemstone Purification Astrology
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE