Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

তালিকায় চিহ্নিত বিপজ্জনক ১৩০০!

নোট-বাতিলের পর কালো টাকা সাদা করার প্রকল্প চালু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। নিজে থেকে কালো টাকা ঘোষণা করে, অর্ধেক কর-জরিমানা মিটিয়ে দিলে আর কোনও তদন্ত হবে না। কিন্তু সেই ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’-য় তেমন সাড়া মেলেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৫৮
Share: Save:

নোট-বাতিলের পর কালো টাকা সাদা করার প্রকল্প চালু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। নিজে থেকে কালো টাকা ঘোষণা করে, অর্ধেক কর-জরিমানা মিটিয়ে দিলে আর কোনও তদন্ত হবে না। কিন্তু সেই ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’-য় তেমন সাড়া মেলেনি।

স্বেচ্ছায় বেশি লোক কালো টাকার কথা জানাতে এগিয়ে না আসায় ফের কোমর বেঁধে নেমেছে আয়কর দফতর। শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ক্লিন মানি’-র দ্বিতীয় অধ্যায়। নোট বাতিলের পরে যারা পুরনো নোটে ১০ লক্ষ টাকার বেশি ব্যাঙ্কে জমা করেছিলেন, এত দিন তাদের আয়ের সঙ্গে জমার হিসেব মিলিয়ে তদন্ত হচ্ছিল। ওই তদন্তে ৬০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছেন আয়কর অফিসাররা। যাদের মধ্যে ১৩০০ জনকে ‘বিপজ্জনক’ তালিকায় ফেলা হয়েছে। এরা পুরনো নোটে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা জমা করার পাশাপাশি পুরনো নোটে বড় মাপের আর্থিক লেনদেন করেছেন, কিংবা বিদেশে কালো টাকা পাচার করেছেন বলে

আয়কর দফতরের সন্দেহ। তাঁদের বিরুদ্ধে এ বার বিশদে তদন্ত শুরু হবে। ৬ হাজারের বেশি দামি সম্পত্তি কেনাবেচাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। বিদেশে টাকা পাচারের ৬,৬০০ মামলার তদন্ত হচ্ছে।

আয়কর দফতরের তথ্য বলছে, নভেম্বরের নোট বাতিলের পর থেকে এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২,৩৬২ টি জায়গায় তল্লাশি হয়েছে। ৮১৮ কোটি টাকার সম্পত্তি আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬২২ কোটি টাকা নগদ। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ৯,৩৩৪ কোটি টাকা চিহ্নিত হয়েছে। ৪০০টি মামলার তদন্ত শুরু করেছে ইডি ও সিবিআই।

আরও পড়ুন: কালো টাকার খোঁজে উদ্বেগ কর সন্ত্রাসেরও

এ বার দ্বিতীয় দফায় যারা পুরনো নোটে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা জমা করেছেন, তাঁদের ঠিকুজিকোষ্ঠীর তদন্ত শুরু হচ্ছে। শুক্রবারই মুম্বইয়ে কেন্দ্রীয় আয়কর পর্ষদের শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসছেন। সূত্রের খবর, নোট বাতিলের পর ব্যাঙ্কগুলিতে বাতিল নোট জমা পড়ার সমস্ত নথি

আতসকাচের তলায় ফেলা হবে। আয়কর দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘নোট বাতিলের পর যে সব কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১২.৫ লক্ষ টাকার বেশি জমা পড়েছিল, তার সম্পর্কে ব্যাঙ্কগুলিকে নথি দিতে বলা হয়েছিল। এত দিন ‘ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি হয়েছে। এ বার ব্যাঙ্কের নথির ভিত্তিতে যারা পুরনো নোট জমা করেছেন, সেই টাকার সঙ্গে তাদের আয়, কর জমার পরিমাণ মিলিয়ে দেখা হবে। অন্যের অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকা বেনামি লেনদেন আইনে তদন্ত হবে। যে সব ব্যক্তির নামে একাধিক প্যান কার্ড মিলেছে, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হবে।’’

ফের অভিযান

• পুরনো নোটে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা জমার তদন্ত

• অন্য অ্যাকাউন্টে জমা টাকার তদন্ত বেনামি লেনদেন আইনে

• একাধিক প্যান কার্ডের মালিকদের জেরা

• কালো টাকার তদন্তে প্রথম দফায় চিহ্নিত ৬০ হাজার

• দামি সম্পত্তি কেনাবেচায় চিহ্নিত ৬ হাজারের বেশি

• বিদেশে টাকা পাচারের ৬,৬০০ মামলার তদন্ত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Operation Clean Mone Black Money
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE