Advertisement
E-Paper

‘জেলে যেতেও রাজি, আর ফিরতে চাই না বাংলাদেশে’! ত্রিপুরা দিয়ে ভারতে ঢুকেই আটক ১০ বাংলাদেশি

পেশায় অটোচালক শঙ্কর। শনিবার ত্রিপুরা দিয়ে ভারতে ঢুকতেই আটক করা হয় শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের নয় সদস্যকে। শঙ্করের সঙ্গে ভারতে এসেছেন তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ভাই এবং বাবা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৩১
ত্রিপুরায় আটক শঙ্কর (ডান দিকে) এবং তাঁর পরিবার। ছবি: সংগৃহীত।

ত্রিপুরায় আটক শঙ্কর (ডান দিকে) এবং তাঁর পরিবার। ছবি: সংগৃহীত।

তিনি জেলে যেতেও রাজি, কিন্তু বাংলাদেশে আর ফিরে যেতে চান না। সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরা দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ধানপুর গ্রামে বাসিন্দা শঙ্করচন্দ্র সরকার। কিন্তু ত্রিপুরার ধলাই জেলার আমবাসা থানা এলাকায় ধরা পড়ে যান। রেলপুলিশের হাতে ধরা পড়তেই শঙ্করের কাতর আর্জি, তাঁকে মারলেও ভারত ছেড়ে যাবেন না।

পেশায় অটোচালক শঙ্কর। শনিবার ত্রিপুরা হয়ে ভারতে ঢুকতেই আটক করা হয় শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের নয় সদস্যকে। শঙ্করের সঙ্গে ভারতে এসেছেন তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ভাই এবং বাবা। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে শঙ্কর দাবি করেছেন, ‘‘বাংলাদেশে আমরা নিরাপদ নই। ক্রমাগত হুমকি আর হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ দায়েরও করা যাচ্ছে না। অটো চালিয়ে রোজগার করি। কিন্তু এখনও তা-ও দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।’’ এর পরই শঙ্করের মন্তব্য, ‘‘শান্তির খোঁজে সীমান্ত পেরিয়ে চলে এসেছি। যদি জেলে যেতে হয় যাব। বাংলাদেশে ফিরব না।’’

শঙ্কর আরও জানান, সারা রাত জঙ্গলে কাটিয়ে তার পর সীমান্ত পেরিয়ে ভোরে ত্রিপুরায় ঢুকেছেন। এক ব্যক্তি সীমান্ত পার হতে সহযোগিতা করেছেন। তার পর ত্রিপুরার আমবাসা থেকে ট্রেনে করে অসমের শিলচরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমবাসা রেলস্টেশন থেকে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারকে আটক করা হয়।

আমবাসা রেলপুলিশ আধিকারিক পিন্টু দাস এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা খবর পাই বাংলাদেশের একটি পরিবার আমবাসা স্টেশনে জড়ো হয়েছে। তারা একটি অটোতে করে স্টেশনে এসেছিল। স্টেশনের বাইরেই অপেক্ষা করছিল। সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁরা জানান যে, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছেন। দলে তিন জন পুরুষ, ছয় মহিলা এবং একটি শিশু রয়েছে।’’রেলপুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, জেরায় তাঁরা স্বীকার করেছেন যে, ধলাই জেলার কমলপুর হয়ে ত্রিপুরায় ঢুকেছেন। যাচ্ছিলেন শিলচর।

Bangaldesh Tripura
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy