ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আরও ৯৭টি ‘তেজস মার্ক-১এ’ যুদ্ধবিমান তৈরি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড’ (হ্যাল)। অক্টোবরেই হ্যালের সঙ্গে সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে কেন্দ্র। আপাতত, প্রথম পর্যায়ের ৮৩টি তেজসের মধ্যে দু’টি হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে বায়ুসেনার। সেপ্টেম্বর শেষের আগেই তা পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হ্যাল-এর প্রধান ডিকে সুনীল জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের অক্টোবরে কেন্দ্রের সঙ্গে তেজস সংক্রাম্ত নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। ইতিমধ্যে আগেই বরাত দেওয়া ৮৩টি তেজসের মধ্যে প্রথম দু’টি হাতে পেয়ে যাবে বায়ুসেনা। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে সেই বহুপ্রত্যাশিত মুহূর্ত আসতে চলেছে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষ থেকেই ধাপে ধাপে বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল যুদ্ধবিমানগুলি। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার প্রায় দু’বছর পর শেষমেশ মাত্র দু’টি তেজস সরবরাহ করতে চলেছে নির্মাতা সংস্থা।
হ্যালের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ১০টি যুদ্ধবিমান নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শেষ। শীঘ্রই ধাপে ধাপে সেগুলি সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হবে। জানা গিয়েছে, আরও ৯৭টি নতুন তেজস কেনার চুক্তির কাগজপত্র তৈরির কাজ চলছে। এর পাশাপাশি, মার্কিন সংস্থা জিই এরোস্পেস থেকে প্রায় ৮,৩০০ কোটি টাকায় মোট ১১৩টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন কেনার চুক্তিতেও স্বাক্ষর করছে হ্যাল।
আরও পড়ুন:
তেজস একটি একক ইঞ্জিনযুক্ত, বহু কার্যক্ষমতাসম্পন্ন (মাল্টিরোল) দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমান। আপাতত এর আধুনিকতম সংস্করণ ‘তেজস মার্ক-১এ’ নাসিকে হ্যাল-এর কারখানায় তৈরি হচ্ছে। তেজসের ‘মার্ক-১’-এর উন্নততর সংস্করণ এই যুদ্ধবিমান। এই যুদ্ধবিমান আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমি, দু’টি ক্ষেত্রেই হামলা চালাতে দক্ষ। ফলে মিগ ২১-এর মতো পুরনো যুদ্ধবিমানের জায়গায় এই বিমানকে কাজে লাগানো যেতে পারে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তেজসের মার্ক-১ ফাইটার জেটের দ্বিআসনযুক্ত নয়া প্রশিক্ষণ সংস্করণটি আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল বায়ুসেনার হাতে। কিন্তু প্রথম বরাতের ৪০টি যুদ্ধবিমানের সব ক’টি এখনও পাওয়া যায়নি। পরে ৮৩টি তেজস কেনার জন্য বরাত দেওয়া হয় হ্যালকে।