ব্রিটেনে পৌঁছোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার ভোরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি লন্ডনে পৌঁছেছেন। আগামী দু’দিন সে দেশেই থাকার কথা তাঁর। রাজা তৃতীয় চার্লস, প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার-সহ নানা রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দেখা করারও কথা রয়েছে ট্রাম্পের। আলোচনা হতে পারে বাণিজ্য চুক্তি থেকে ইউক্রেন যুদ্ধ— নানা বিষয় নিয়েই।
স্থানীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার গভীর রাতে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে নামেন ডোনাল্ড এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। এটি ব্রিটেনে তাঁর দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফর। এর আগে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই নজির নেই। বুধবার উইন্ডসরে রাজা তৃতীয় চার্লসের আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। সেখানে রাজকীয় নৈশভোজেও অংশগ্রহণ করবেন। তার পর চেকার্সে প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেখানে বাণিজ্য, জাতীয় নিরাপত্তা, ভূরাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে। কথা হতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও।
বুধবার ট্রাম্পকে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ সম্মান গার্ড অফ অনার দিয়ে স্বাগত জানানো হবে। অন্য দিকে, ট্রাম্প লন্ডনে পৌঁছোনোর আগেই মার্কিন রাজস্বসচিব স্কট বেসেন্ট এবং ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস দু’দেশের মধ্যে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক চুক্তির কাজ এগিয়ে রেখেছেন। দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে একটি ‘ট্রান্স-আটলান্টিক টাস্কফোর্স’ গঠনের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। স্টার্মারের দফতর থেকেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘ব্রিটেন-আমেরিকার সম্পর্ক বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সম্পর্ক। এর নেপথ্যে গত ২৫০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। এ হেন দেশে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সফর ট্রান্স-আটলান্টিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করে তুলবে।’’
আরও পড়ুন:
ওয়াশিংটন ছাড়ার আগেও ট্রাম্পের মুখে শোনা গিয়েছে ইউক্রেন প্রসঙ্গ। বিমানে ওঠার আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি চুক্তিতে পৌঁছোনোর আহ্বান জানান। পাশাপাশি, রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনার জন্য ফের ইউরোপীয় দেশগুলির সমালোচনাও করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই আবহে ট্রাম্পের ব্রিটেন সফরে ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতির কথাও উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।