চলতি মাসেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ় একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর প্রকাশ করেছে। সূত্রের খবর, আমেরিকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলন চলাকালীন ট্রাম্পের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠকে বসতে পারেন শরিফ। সেই বৈঠকে থাকার কথা পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সে দেশে বন্যা, কাতারে ইজ়রায়েলের হামলা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ট্রাম্প এবং শরিফের। ভারতের সঙ্গে চাপানউতর নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জল্পনা। যদিও ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের দূতাবাসের তরফে এই নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
ভারতের সিঁদুর অভিযানের পরে মুনিরকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত করেছে পাকিস্তান। তার পর থেকে শরিফের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে থাকছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। সূত্রের খবর, ট্রাম্পের সঙ্গে শরিফ বৈঠকে বসলে সেখানেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত জুনে হোয়াইট হাউসে মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প। তার পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি ‘সম্মানিত’।
সে সময় ইরান এবং ইজ়রায়েলের সংঘাত চলছিল। সেই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ইরানের উপর হামলা চালাতে পারে আমেরিকা। তার যদিও প্রয়োজন হয়নি। ট্রাম্পের সঙ্গে সেই বৈঠকে ছিলেন আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো, পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। মুনিরের সঙ্গে ছিলেন আইএসআই প্রধান আসিম মালিক। সেই বৈঠকের আগে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ‘যুদ্ধ থামানোর জন্য’ ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হোক বলে দাবি করেছিলেন মুনির। যদিও ভারত সেই ‘যুদ্ধ থামানোর’ দাবি খারিজ করেছিল আগেই। মুনিরের ওই দাবি তোলার পর থেকে আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও মসৃণ হতে শুরু করে।
জুলাই মাসে ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি ঘোষণা করে। জানায়, পাকিস্তানের খনিজ তেল উত্তোলনে সাহায্য করবে আমেরিকা। অগস্টে আবার ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন মুনির। সম্প্রতি তাদের দেশের খনিজ ক্ষেত্রে আমেরিকা ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় মুদ্রায় তা প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। এ বার জানা গেল ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন শরিফ। কী নিয়ে হবে আলোচনা, এখন সেটাই প্রশ্ন।