চারধাম যাত্রায় পুণ্যার্থীদের ঢল। ছবি: পিটিআই।
এক সপ্তাহ হল শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা। গত ১০ মে কেদারনাথ, যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রী ধাম খুলেছে। ১২ মে খুলেছে বদ্রীনাথ ধাম। প্রথম দিন থেকেই চারধাম যাত্রায় পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী হাজির হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে উত্তরাখণ্ড সরকারকে। পুণ্যার্থীদের চাপ তো আছেই, তার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুসংখ্যাও। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, যাত্রা শুরুর পাঁচ দিনের মধ্যেই ১১ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আর এই ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকারের।
রাজ্য এবং জেলা প্রশাসনের তরফে পুণ্যার্থীদের কাছে আবেদন করা হচ্ছে, তাঁরা যেন শারীরিক সমস্যার বিষয়ে কোনও কিছু গোপন না করেন। গঢ়ওয়ালের কমিশনার বিনয় শঙ্কর পাণ্ডে জানিয়েছেন, যে সব পুণ্যার্থীরা চারধাম যাত্রায় আসছেন, তাঁদের একটি মেডিক্যাল সংক্রান্ত ফর্ম পূরণ করতে হচ্ছে। শারীরিক সমস্যা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সেখানে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেকেই এই যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা এড়াতে শারীরিক সমস্যা সংক্রান্ত বিষয় গোপন করছেন। ফলে তাঁদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটছে।
তাই এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে পুণ্যার্থীদের কোনও রকম শারীরিক সমস্যা না লুকোনোর আর্জি জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, গত বছরের তুলনায় এ বছরে চারধাম যাত্রায় পুণ্যার্থীদের চাপ অনেক বেশি। তাই কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রতি দিন পুণ্যার্থীদের সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। এক সপ্তাহের মধ্যেই দেড় লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী কেদারনাথ দর্শন করেছেন। ৭০ হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থী দর্শন করেছেন যমুনোত্রী। ৬৩ হাজার পুণ্যার্থী দর্শন করেছেন গঙ্গোত্রী। শুধু তিন দিনেই ৪৫ হাজার পুণ্যার্থী বদ্রীনাথ ধাম দর্শন করেছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy