প্রতীকী ছবি।
সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে তোলা হবে ১২টি পৃথক আদালত। সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলায় এ কথা জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
আইনসভাগুলির মোট ১৫৮১ জন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা চলছে বিভিন্ন কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই কেন্দ্রকে বলেছিল, মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিশেষ আদালত গড়া হোক এবং এ জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা হোক। মামলাগুলি কোন পর্যায়ে রয়েছে, কতগুলি ক্ষেত্রে সাজা হয়েছে, কতগুলি ক্ষেত্রে রেহাই পেয়েছেন নেতারা, কেন্দ্রকে তা-ও জানাতে বলে শীর্ষ আদালত। সেই প্রেক্ষাপটেই শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র আজ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করেই তথ্য দেওয়া হবে। তবে এই ধরনের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে ১২টি বিশেষ আদালত গড়া হবে। এ জন্য ৭ কোটি ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, কোনও মামলায় কমপক্ষে দু’বছরের সাজা হলে কোনও রাজনীতিক ছয় বছরের জন্য ভোটে লড়তে পারেন না। লালুপ্রসাদের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছে। তবে বিজেপি নেতা অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় জনস্বার্থ মামলা করে আর্জি জানিয়েছিলেন, ছয় বছরের জন্য নয়, সারা জীবনের জন্যই ভোটে দাঁড়ানো বন্ধ হোক দুর্নীতিগ্রস্থদের। কোর্ট যদি এই আর্জি মেনে নেয়, তা হলে লালু কিংবা শশিকলার মতো নেতা-নেত্রীরা সারা জীবন ভোটে লড়তেই পারবেন না। অবশ্য কোর্টে নরেন্দ্র মোদী সরকার এই প্রস্তাব মানতে চায়নি। কেন্দ্রের মতে, ছয় বছরের মেয়াদ কম নয়। তবে এই প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কেন্দ্রের মতভেদ দেখা দিয়েছে। শুরুতে দ্বিধায় থাকলেও পরে কমিশন জানিয়েছে, কমপক্ষে দু’বছরের জন্য দোষী সাব্যস্ত নেতাদের সারা জীবনের জন্য ভোট প্রক্রিয়ার বাইরে রাখতে আগ্রহী তারা।
কিন্তু সাধারণ আদালতে মামলার ফয়সালায় দেরি হলে দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের সুবিধা হয়ে যায়। নেতাদের সেই সুযোগ না দিতেই এ বার ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গড়ার সিদ্ধান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy