এ বার একসঙ্গে প্রায় ২০০টি ওষুধ, ইঞ্জেকশন বাতিল করল ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ (সিডিএসসিও)। বাতিল হওয়া ওষুধগুলির মধ্যে কোনওটি জ্বর, সর্দি-কাশির, কোনও ওষুধ আবার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হত। শুধু তা-ই নয়, তালিকায় রয়েছে প্রসাধনী দ্রব্যও। সদ্য বাতিল হওয়া ওষুধগুলির প্রত্যেকটিই অতিপরিচিত এবং বহুলভাবে ব্যবহৃত ওষুধ, তাই তালিকা বেরোনোর পর থেকে মাথায় হাত অনেকেরই!
বাতিলের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে ১৯৬টি ওষুধ, ইঞ্জেকশন, প্রসাধনী দ্রব্যের উল্লেখ রয়েছে। সিডিএসসিও প্রতি মাসেই বিভিন্ন ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করে। কোন ব্যাচের ওষুধ, সেই সব ওষুধ নির্দিষ্ট মানদণ্ড ছুঁতে পারছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। তার পরই ওষুধের ছাড়পত্র দেয়। প্রতি মাসেই গুণগত মানসম্মত নয় (এনএসকিউ) এমন তালিকা দেয় সিডিএসসিও।
এপ্রিল মাসের এনএসকিউ তালিকায় যে যে ওষুধগুলি রয়েছে, সেগুলির মধ্যে কিছু ‘ফিক্সড ডোজ় কম্বিনেশন’ (এফডিসি) ওষুধ। ষে ওষুধগুলিতে নির্দিষ্ট অনুপাতে দুই বা ততোধিক ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদানের সংমিশ্রণ থাকে, সেগুলিকে এফডিসি ওষুধ বলে। চলতি ভাষায় এদের ‘ককটেল’ ওষুধও বলা যায়। তালিকায় প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে কাশির সিরাপ, অ্যালার্জি প্রতিরোধক ওষুধও। আবার ‘মামাআর্থ’ নামক প্রসাধনী সংস্থার পণ্যও গুণগত মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারায় বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
দেশের অন্যতম শীর্ষ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডেকা-ডুরাবোলিম ইঞ্জেকশনের একটি ব্যাচকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এই ইঞ্জেকশন রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। ২০২৫ সালের এপ্রিলের এনএসকিউ তালিকায় থাকা ওষুধের নমুনার মধ্যে ৬০টি কেন্দ্রীয় ওষুধ পরীক্ষাগারে এবং ১৩৬টি রাজ্যে ওষুধ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়েছিল।