কোটায় পড়ুয়া-মৃত্যুর ঘটনা উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট। কেন বার বার শুধু কোটাতেই পড়ুয়াদের মৃত্যু হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুলল দেশের শীর্ষ আদালত। কোটায় বেশির ভাগ পড়ুয়া-মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা! বিষয়টি ‘গুরুতর’ বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চে কোটার পড়ুয়া-মৃত্যুর বিষয়টি উত্থাপিত হয়। বেঞ্চ উল্লেখ করে, চলতি বছরে কোচিং হাব কোটায় ইতিমধ্যেই ১৪ জন পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর মিলেছে। শুনানিতে বিচারপতি পারদিওয়ালা রাজস্থান সরকারকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কী করছেন? কেন শুধুমাত্র কোটাতেই পড়ুয়ারা এত আত্মহত্যা করছে? সরকার কি এই নিয়ে কিছু ভাবছে না?’’ জবাবে রাজস্থান সরকারের তরফে জানানো হয়, আত্মহত্যার বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খড়্গপুর আইআইটিতে এক পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। শুধু খড়্গপুর আইআইটি নয়, একই দিনে জানা যায় কোটার এক নিট পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনাও। জোড়া পড়ুয়া-মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত শুনানিতে বিচারপতি পারদিওয়ালার বেঞ্চ জানতে চায়, এফআইআর দায়ের হয়েছিল কি না? খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা এফআইআর দায়ের করেছিলেন! কিন্তু এফআইআর দায়ের করতে কেন চার দিন দেরি হল, প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিষয়গুলিকে হাল্কা ভাবে নেওয়া উচিত নয়।
গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মনে করিয়ে দিয়েছিল, ‘‘পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। পড়ুয়াদের আত্মহত্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজের জন্য আমরা টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিলাম।’’ উল্লেখ্য, সেই টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট।
আরও পড়ুন:
খড়্গপুর আইআইটি-র পাশাপাশি কোটাতে বার বার পড়ুয়া-মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। ডাক্তারি এবং প্রযুক্তিবিদ্যার প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে পড়ুয়ারা কোটায় যান। সেখানে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাঁরা। সেই কোটা শহরে প্রায়শই পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ে ১৪টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। গত বছরে কোটায় ১৭ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিল। সেই নিয়েই এ বার রাজস্থান সরকারকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট।