গত সাত দিন ধরে অভিযান চালিয়ে অন্তত ১২১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের সকলেই প্রায় তিন বছর এ দেশে রয়েছেন। শ্রমিকের কাজ করছেন। বন্দি শিবির (ডিটেনশন সেন্টার) থেকে শীঘ্রই তাঁদের দেশে ফেরানো হবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
বুধবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল। আলিপুর, বাওয়ানা, নারেলা, স্বরূপনগর, শাহবাদ ডেয়ারির মতো শিল্পাঞ্চল এলাকাগুলি থেকে ৮৩১ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সকলেই মূলত পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের নথিপত্র পরীক্ষা করার পরে ১২১ জনকে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। জানা যায়, ভুয়ো পরিচয়পত্র ইত্যাদি দিয়ে বছরের পর বছর ধরে রয়েছেন একশোর বেশি বাংলাদেশি। এঁরা সকলেই অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকেন বলে অভিযোগ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, কম করে ৩ বছর ধরে দিল্লিতে রয়েছেন ওই অভিযুক্তেরা। রাজধানীর বিভিন্ন কারখানায় কাজ করতেন এঁরা। ১২১ জনকেই বন্দি শিবিরে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের নিজেদের দেশে পাঠানোর জন্য ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে। কথা বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রশাসনের সঙ্গে।
অন্য দিকে, ওই অভিযানে পাঁচ জন ভারতীয়কেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃতেরা টাকার বিনিময়ে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন অনুপ্রবেশকারীদের। কেউ কেউ আবার ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দিতে সাহায্য করেছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন আরও কয়েক জনের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৩৬ (২) (জালিয়াতি), ৩৪০ (২) (নথিপত্র কিংবা ইলেকট্রনিক তথ্য জাল) এবং ৬১ (২) (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ইত্যাদি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই দিতে, বেআইনি ভাবে তাঁদের আসা-যাওয়ার সুবিধা করে দিতে দিল্লিতেই একটি বড় চক্র কাজ করেছে। ওই চক্রের মাথাদের খোঁজ চলছে।