ধসে পড়েছে পাঁচ তলা বাড়িটি।
বৃষ্টি-বিধ্বস্ত মুম্বই ছন্দে ফিরতে শুরু করছে সবে। তার মধ্যেই ফের বড় বিপর্যয়। আজ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দক্ষিণ মুম্বইয়ের জনবহুল ভিন্ডি বাজার এলাকায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল একটি পাঁচ তলা বাড়ি। এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। আহত কমপক্ষে ৩০ জন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন চার দমকল কর্মীও। ধ্বংসস্তূপে রাত পর্যন্ত কেউ কেউ আটকে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।
১১৭ বছরের পুরনো ওই বাড়িটিকে ২০১১ সালে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছিল বৃহন্মুম্বই পুরসভা (বিএমসি)। পুলিশ জানিয়েছে, ন’টি পরিবার থাকত মৌলানা শওকত আলি রোডের ওই পুরনো বহুতলটিতে। এক তলায় ছিল বেশ কয়েকটি সংস্থার গুদাম। যে ট্রাস্ট ওই বহুতল পুনর্নির্মাণের বিষয়টি দেখাশোনা করছে, বহু আগেই ওই বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তার সদস্যেরা। কিন্তু ২০১৪ সালে সাতটি পরিবার সরে গেলেও অন্যেরা ওই বিপজ্জনক বহুতলেই থাকতেন। কী কারণে এই বিপর্যয়, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। দু’দিন আগের ভয়াবহ বৃষ্টির ফলেই এই বিপর্যয় বলে প্রাথমিক ভাবে মনে কার হচ্ছে।
বিএমসি জানিয়েছে, গোটা মুম্বইয়ে মোট ৭৯১টি বহুতলকে বিপজ্জনক আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে মাত্র শ’দুয়েক বহুতল ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরি হয়েছে। এখনও পাঁচশোরও বেশি বহুতলে বাসিন্দারা রয়েছেন। সেগুলিও যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিএমসি-র কর্তারা।
ভেঙে পড়া বাড়ি হুসেইনি-র কাছেই থাকেন মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী পলাতক দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকর। টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, ‘‘সকাল আটটা বেজে চল্লিশ মিনিটে একটা বিকট আওয়াজ পাই। প্রথমে ভেবেছিলাম বিস্ফোরণ। আমাদের বাড়িও কেঁপে গিয়েছিল। তাড়াহুড়ো করে নীচে নেমে দেখি চার দিক ধুলোয় ঢেকে গিয়েছে।’’ প্রায় দু’শো উদ্ধারকর্মী প্রাণের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
দুই সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে ওই বহুতলে থাকতেন জাফের রিজভি। আজ সকালে তাঁর ফোন থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা আসে আত্মীয়দের কাছে। ‘‘আমি বেঁচে আছি। এখানে এসে আমায় উদ্ধার করো।’’ জাফেরের ভাই সইদ রিজভি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আর দমকলে খবর দেন। সাংবাদিকদের সইদ বললেন, ‘‘দাদার দুই সন্তানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু দাদা আর বৌদির খবর সন্ধে পর্যন্ত মেলেনি। কী জানি ওরা কী অবস্থায় আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy