জানুয়ারি থেকে এপ্রিল। এ বছরের এই চার মাসে ২২টি বাঘ, ৪০টি চিতাবাঘ এবং ৬১টি বন্যজন্তুর মৃত্যু হয়েছে বলে বিধানসভায় জানালেন মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী গণেশ নায়েক। কেন বাঘের মৃত্যু হচ্ছে, বিরোধী দলের বিধায়কেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে চার মাসে কত সংখ্যক বাঘের মৃত্যু হয়েছে, তার একটি তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি, মৃত্যুর কারণ সম্পর্কেও আলোকপাত করেন বনমন্ত্রী।
বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২২টি বাঘের মধ্যে ১৩টি বাঘের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৯টি বাঘের মধ্যে চারটির মৃত্যু হয়েছে তড়িদাহত হয়ে। চারটি মারা গিয়েছে সড়ক, রেল দুর্ঘটনা এবং কুয়োয় পড়ে। আর একটি বাঘের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি বলেই দাবি বনমন্ত্রীর। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই চারম মাসের মধ্যে চিতাবাঘেরও মৃত্যু হয়েছে। সেই সংখ্যাটাও খুব কম নয়। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে ৪০টি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে মৃত্যু হল চিতাবাঘগুলির, মৃত্যুর নেপথ্যে কোন কারণ বেশি, সেই তথ্যও দিয়েছেন বনমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ৪০টি চিতাবাঘের মধ্যে ৮টির মৃত্যু হয়েছে স্বাভাবিক ভাবে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২০টির। চোরাশিকারিদের হাতে মৃত্যু হয়েছে তিনটি চিতাবাঘের। ৯টি চিতাবাঘের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
এ ছাড়াও এই চার মাসের মধ্যে ৬১টি বন্যপশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী। সেগুলির মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ২৩টির। তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে চারটির। চোরাশিকারিদের হাতে মৃত্যু হয়েছে চারটির। কুকুরের হামলা এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪টি বন্যজন্তুর। এ ছাড়াও ছ’টি বন্যপশুর মৃত্যু অজানা রয়ে গিয়েছে। এই চার মাসে আবার বন্যপশুর হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যে ১০৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে মোট ৭০৭টি বন্যপশুর মৃত্যু হয়েছে।