Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মোদীর শপথ এড়িয়ে এক টেবিলে ৩ দক্ষিণী নেতা

বিধানসভা ভোটে বিরাট জয়ের পরে সকালেই শপথ নিয়েছেন জগন। শপথের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন চন্দ্রশেখর রাও ও স্ট্যালিন।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী-পদে শপথগ্রহণের পরে জগন্মোহন রেড্ডি। বৃহস্পতিবার। পিটিআই

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী-পদে শপথগ্রহণের পরে জগন্মোহন রেড্ডি। বৃহস্পতিবার। পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
বিজয়ওয়াড়া শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৯ ০৩:০৫
Share: Save:

কথা ছিল, সন্ধেয় রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদীর শপথে আসবেন। কিন্তু সেই কর্মসূচি বাতিল করে দক্ষিণের দুই নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও এবং এম কে স্ট্যালিনকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। দক্ষিণ ভারতের রাজনীতির এই নতুন অক্ষ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।

বিধানসভা ভোটে বিরাট জয়ের পরে সকালেই শপথ নিয়েছেন জগন। শপথের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন চন্দ্রশেখর রাও ও স্ট্যালিন। ঠিক ছিল, জগন ও কেসিআর একই বিমানে দিল্লি এসে সন্ধেয় মোদীর শপথে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কর্মসূচি বদলান নতুন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, এই মধ্যাহ্নভোজের মধ্য দিয়ে দক্ষিণের রাজনীতিতে নতুন অক্ষের সৃষ্টি হল। লোকসভা ভোটে স্ট্যালিনের দল ডিএমকের জোট তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসনের মধ্যে ৩৮টিতেই জিতেছে। জগনের ওয়াইএসআর কংগ্রেস পেয়েছে অন্ধ্রের ২৫টি আসনের মধ্যে ২২টি। কেসিআরের তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি জিতেছে ৯টি আসনে।

আরও পড়ুন: বাদ গত বারের অর্থমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, আরও যে মন্ত্রীরা জায়গা পেলেন না এ বার

ভোটের আগে থেকেই কেসিআর ও জগন একজোট হয়ে এগোচ্ছিলেন। বিজেপি কিংবা কংগ্রেস, সরাসরি কোনও দলের সঙ্গেই জুড়তে দেখা যায়নি তাঁদের। কেসিআর সওয়াল করে গিয়েছেন আঞ্চলিক দলগুলির ফ্রন্ট গঠনের। জগন জানিয়েছিলেন, অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবি যে মেনে নেবে, সেই দলের সঙ্গেই থাকবেন তিনি। তবে দিল্লিতে বিজেপি এ বার বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় মোদী সরকার শেষ পর্যন্ত তাঁদের উপরে নির্ভরশীল হবে না বলেই মনে করছেন জগন। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ভারতের তিন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে আজ এক টেবিলে দেখা গেল।

ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে লোকসভা ভোটে লড়েছেন। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঝোড়ো প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। মোদী হাওয়াকে দক্ষিণে রুখে দেওয়ার অন্যতম কারিগর জগন-স্ট্যালিন-কেসিআরের এই কাছাকাছি আসা নতুন কোনও ভবিষ্যতের জন্ম দিতে চলেছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Stalin Oath Taking Ceremony
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE